প্রিয়াঙ্কা নিয়োগি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
ক্রাইম হোলো অপরাধ ও অন্যায়।
অর্থাৎ কাউকে অত্যাচার করা,ক্ষুন করা সে মানুষ হোক বা পশুপাখি হোক,চুরি ও ডাকাতি করা,ধর্ষণ করা,ইচ্ছে করে বিরক্ত করা, ঠকানো,কারো নামে মিথ্যা প্রচার করা,কিডন্যাপ করা,রেগিং করা,হাওলাত টাকা ফেরৎ না দেওয়া,কাউকে এবইউস করা সমস্তটাই অপরাধ ও অন্যায়ের মধ্যে পরে,কাউকে পরিকল্পিতভাবে খারাপ প্রমাণ করাও অপরাধের মধ্যে পরে।
ক্রাইম কেন হয়?
এর উত্তর এতো ছোটো নয়।কারণ বিশ্ব সংসারে একেকটা মানুষ একেকরকম।তাই যে মানুষগুলো ক্রাইম করে তারা একেকরকম রাগের বর্শবর্তী হয়েই কাজগুলো করে।তাই ক্রাইমের বিষয়টা ইগো, লোভ-লালসা,ভুল চালাকি, ঠকানো,পজিশন ইত্যাদির কারণে হয়।রাগ ভালোর ক্ষেত্রে ভালো,তবে যে রাগ ক্রাইমের মতো মানসিকতা তৈরী করে সেই রাগ থেকে সরে আসা ভালো।একজন ক্রাইম করে কিন্তু কখনোই ভালো থাকতে পারেনা।
কিন্তু নিজেদের আখের গোছাতে,অন্যের ভালো সয্য না হওয়াতে,বা প্রমাণ সরিয়ে দিতেও অনেকসময়
ক্রাইম করা হয়।ক্রাইমের প্রকারভেদ আছে।বড়ো ক্রাইম এবং ছোটো ক্রাইম।
আবার ক্রাইম বড়ো ও ছোটো ক্রাইম হলেও প্রত্যেকটি অপরাধই বড়ো অপরাধই।
এবার আসা যাক ছোটো ক্রাইম বা অপরাধ কেমন বা কি?
আসলে সমাজে এমন অনেক বিষয়ই আছে যা খুবই সামান্য বিষয় ভেবে মানুষ মানুষের সাথে করে।
অথচ সেগুলি অপরাধ করা।মানুষের বোঝার ভুল।কিছু বিষয় মানুষ বোঝেনা জন্যই ভুল করতে পারে।আর কিছু মানুষ বোঝেনা জন্যই মেনে নেয় বা প্রতিবাদ করতে পারেনা।যেমন কাউকে ইচ্ছে করে বিরক্ত করা,টোনটিং করা,মিথ্যা অপবাদ দেওয়া,অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও গায়ে হাত দেওয়া,টোনটিং করা ইত্যাদি।
আর বড়ো ক্রাইম বলতে খুন,মার্ডার, ধর্ষণ,ডাকাতি,চুরি,কিডন্যাপিং,ব্ল্যাকমেলিং, অধিকার থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি বোঝায়।
এখন আলোচনার বিষয় হোলো এই অপরাধ যারা করেন তারাতো দায়ী আবার এমন কিছু মানুষ আছে তাদের সাথে হয়ে যাওয়া ক্রাইমের জন্য নিজেরাও দায়ী।যেমন কোনো মেয়েকে শশুর বাড়ির থেকে অত্যাচার করতে থাকলে খুব কম মেয়ে আছে প্রতিবাদ করে।সয়ে যাওয়ার বিষয়টি বেছে নেয়।
মানুষের নিজের বেশি চালাকির ফলও ভোগ করতে হয়।বর্তমান সমাজে দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়ে বহু ছেলে মেয়ে খারাপ পথে গেছে।
সাইবার ক্রাইম একটি বড়ো জায়গা নিয়েছে সমাজে।
এই সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচার জন্য মানুষদের সচেতনতা এবং ঘাবড়ে না গিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। ঠান্ডা ও সুস্থ মাথায় থাকতে হবে যেকোনো মানুষকে।আসলে যেকোনো নেগেটিভ বিষয়ের উৎপত্তি হওয়ার সময়ই সেটাকে শেষ করে দিতে হবে।আবার কোনো নারী লালসার স্বীকার হন।
আবার কেউ এমন কাজ করে যা শত্রু তৈরী করে।
কিছু মানুষ সয়তানি করে মজার ছলে। কিন্তু সেগুলো ক্রাইমের পর্যায় পৌঁছায়।
সমাজে ক্রাইম ঠেকাতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে ক্রাইম কি? জাস্টিস কি? খুব ভালো করে এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন এবং মানসিকভাবে সেট থাকতে হবে যে কোনো পরিস্থিতিতেই মাথা ঠান্ডা রেখে গ্রাম পঞ্চায়েত,বি.ডি.ও অফিস,ডি.এম অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
অন্যায়ের সাথে আপোস নয়।চলতেই এমনভাবে হবে যাতে অন্যায় কেউ করতে না পারে।আর অন্যায় আটকানোর জন্য আইনিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ প্রযুক্তির বিদ্যার যুগে দাঁড়িয়ে মানুষ যেখানে ইন্টারনেটের দরুণ সমস্ত তথ্য পাচ্ছে সেখান থেকে কয়জন নিজের সুরক্ষার জন্য আইন ও নৈতিক অধিকার ও স্বাধীনতা সম্পর্কে তথ্য নিচ্ছে?
নিজের সুরক্ষার জন্য আইন এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।