ভোরের গায়ে ঘামের গন্ধ কই?
স্কুলের ব্লাকবোর্ডে কালো কাকের চিত্র
খড়ি দিয়ে আঁকা।
পিঠের বোঝায় ছাত্র-ছাত্রী ঝুলে যায়।
“কা-কা” করে। চুরি গেছে মই।
ইউনিভার্সিটির ডিগ্ৰীর কাগজটা সাবান জলে ডুবিয়ে
নমিতা বাসন মাজে।
মোটা খগেনবাবু ফাঁক দেখে, ফাঁক খোঁজে।
নমিতার চোখের ধার খুন্তির ডগায়।
মেয়েলি ন্যাকাপনায় গোটায় না লাজে।
লাল পতাকাটা আজ বণিকের মানদন্ডের মাথায়।
ফ্যাকাশে, ভুগছে অ্যানিমিয়ায়।
দড়ি হাতে বন্ধু অসীম। করতালি।
লাল গোলাপ খুনির গলায়।
কারখানার গেটে বড়ো তালা।
মরচে ধরা। ঝুলছে বহুদিন।
হারিয়েছে চাবি।
কালো চশমা চোখে খোঁজ চলে।
খেটে খাওয়া হারানের নাতজামাইকে ভ্যানে তোলে।
হাড়িকাঠে দিতে গলা।
অন্ধ কানাই পথের ধারে নাই।
বছর বছর পাঁচ বছর
ভিক্ষা করে।রঙ মাখে,সঙ সাজে।
দেখা পাই।
সাদা মাথা বৃদ্ধ নবীন ফুটপাতে।
ইতিহাসের বই বেচে (ব্যাচে)।
বসে থাকে,,, বসেই থাকে, ক্রেতা নেই।
দিনের শেষে যাবে ঘুমের দেশে।
ঝোলায় তোলে।
“আমরা করবো জয়”শুনেছিল জীবনের প্রাতে।
“রাজা তুই ন্যাংটা কেন?”বলেছিল যে ছেলে-
সে এখন অনেক বড়ো।
রেলের সাথে পাল্লা দেয় লাইনের ধারে।
“আমি মেশিনের হবো প্রতিদ্বন্দ্বী”গান গায়।
“পাগল,,, পাগল,,,”লোকে হেসে যায়।
ভয় পায়। এই বুঝি যাবে জেলে!