ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত খেয়াঘাটে জনগনের দূর্ভোগ চরমে

নাহিদ জামান, খুলনা

তেরখাদা ও রূপসা দুই উপজেলার জনগনের পারাপারের জন্য কয়েক যুগ ধরে চলমান রয়েছে শেখপুরা – শিয়ালী খেয়াঘাট। প্রাকৃতিক কারনে নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নদী পারাপারে জেলা পরিষদের টোল আদয় বন্ধ হয়। নদী কে সচল রাখতে পুনরায় খননের পরে আবার নৌকা চলাচল শুরু হলেও টোল আদায় বন্ধ থাকে।

পরে সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীর আর্শীবাদ পুষ্ট কিছু লোকাল নেতার সমন্বয়ে তৈরি হয় খেয়াঘাটে সিন্ডিকেট। শুরু হয় পুনরায় টোল আদায়। টোলের টাকা থেকে নৌকার মাঝিদের দেওয়া হতো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বাকি টাকা চলে যেতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেতাদের পকেটে। আওয়ামী সরকার পতনের পর ঘাট টি শেখপুরা বিএনপি দখলে নেয় এবং নৌকা পরাপারের জন্য ২ টাকা ধার্য্য করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কিছু দিন যেতে না যেতেই ৫ টাকা টোল নেওয়া শুরু হয়।

বিশেষ সুত্রে জানা যায় শেখপুরা বিএনপি কিছু নেতাকর্মী পূর্বের ন্যায় ঘাটটিতে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এরই মাঝে ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষ বিবাদ করে নৌকা বন্ধ রাখা হয়। উড়িয়ে দেওয়া হয় লাল পতাকা।

বর্তমানে সিন্ডিকেট এর দ্বন্দের কারনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রী অসুস্থ্য রুগী সহ এলাকার ঘাট ব্যাবহারকারী জনসাধারন। এছাড়া ঘাটে একাধিক নৌকা থাকলেও দিনে ও রাতে এখানে একটি নৌকা চলে। নৌকা একপারে থাকলে বিপরীত পারের মানুষের ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হয়। নৌকা মাঝীরা ঘাট ব্যাবহারকারী জনসাধারন সাথে অনেক খরাপ ব্যাবহার করে বলে অভিযোগ রযেছে। এলাকাবাসী অতি দ্রুত এই ঘাটের সমস্যার সমাধান চায়। তারা চায় পারাপারে নৌকার অবসান ঘটিয়ে এখানে ব্রীজ নির্মান হোক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত খেয়াঘাটে জনগনের দূর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় ০২:১২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

নাহিদ জামান, খুলনা

তেরখাদা ও রূপসা দুই উপজেলার জনগনের পারাপারের জন্য কয়েক যুগ ধরে চলমান রয়েছে শেখপুরা – শিয়ালী খেয়াঘাট। প্রাকৃতিক কারনে নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নদী পারাপারে জেলা পরিষদের টোল আদয় বন্ধ হয়। নদী কে সচল রাখতে পুনরায় খননের পরে আবার নৌকা চলাচল শুরু হলেও টোল আদায় বন্ধ থাকে।

পরে সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীর আর্শীবাদ পুষ্ট কিছু লোকাল নেতার সমন্বয়ে তৈরি হয় খেয়াঘাটে সিন্ডিকেট। শুরু হয় পুনরায় টোল আদায়। টোলের টাকা থেকে নৌকার মাঝিদের দেওয়া হতো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বাকি টাকা চলে যেতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেতাদের পকেটে। আওয়ামী সরকার পতনের পর ঘাট টি শেখপুরা বিএনপি দখলে নেয় এবং নৌকা পরাপারের জন্য ২ টাকা ধার্য্য করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কিছু দিন যেতে না যেতেই ৫ টাকা টোল নেওয়া শুরু হয়।

বিশেষ সুত্রে জানা যায় শেখপুরা বিএনপি কিছু নেতাকর্মী পূর্বের ন্যায় ঘাটটিতে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এরই মাঝে ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষ বিবাদ করে নৌকা বন্ধ রাখা হয়। উড়িয়ে দেওয়া হয় লাল পতাকা।

বর্তমানে সিন্ডিকেট এর দ্বন্দের কারনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রী অসুস্থ্য রুগী সহ এলাকার ঘাট ব্যাবহারকারী জনসাধারন। এছাড়া ঘাটে একাধিক নৌকা থাকলেও দিনে ও রাতে এখানে একটি নৌকা চলে। নৌকা একপারে থাকলে বিপরীত পারের মানুষের ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হয়। নৌকা মাঝীরা ঘাট ব্যাবহারকারী জনসাধারন সাথে অনেক খরাপ ব্যাবহার করে বলে অভিযোগ রযেছে। এলাকাবাসী অতি দ্রুত এই ঘাটের সমস্যার সমাধান চায়। তারা চায় পারাপারে নৌকার অবসান ঘটিয়ে এখানে ব্রীজ নির্মান হোক।