ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo ‘চীনের জাহাজ নির্মাণ’ জাতীয় অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে Logo বরুড়ায় যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo বরুড়া অনুপম ইসলামী স্কুল এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo শিক্ষার্থীরা সরকারি বই না পেলেও নোট গাইডের তালিকা পৌঁছে গেছে Logo মুরাদনগরে শিশুপুত্রকে গলা টিপে হত্যা করলো পাষন্ড পিতা Logo গাজীপুরে চট্টগ্রাম সমিতির ‘মেজবান ও চট্টলা উৎসব’ অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১ Logo জমি রেজিস্ট্রিতে অবৈধকে বৈধতা দেওয়ার রূপকার রূপগঞ্জের সাব রেজিস্টার গোলাম কবির Logo বহুরূপী দুর্নীতিবাজ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ’র দুর্নীতি রুখবে কে?

সেবা পেতে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

খুলনার ৯ উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানরা পলাতক

নাহিদ জামান, খুলনা

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে খুলনা ৯ উপজেলা অন্তত ২৪ ইউপি চেয়ারম্যান চলে গেছেন আত্মগোপনে। কারাগারে রয়েছেন চারজন। সরকারি কর্মকর্তা আবার কোথাও প্যানেল চেয়ারম্যান কে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তারাও ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে।

গত ৫ ই আগস্ট পর থেকে লুকিয়ে আছেন রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক গাজী তৌহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতা ও অপহরণ মামলা রয়েছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য জানান চেয়ারম্যান তৌহিদ ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। আত্মগোপনে থেকে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাগজপত্র সই করেন।উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় হাজির হয়না।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুরেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান্য সনদ নিতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

লুকিয়ে আছেন উপজেলার ভান্ডারপড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দে। তার বিরুদ্ধে জমি দখলে অভিযোগের মামলা রয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন কবিরাজ কোনরকমে পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র যে জানান স্থানীয় বিএনপি’র লোকজনের হুমকি-ধামকি কারণে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছেন না।

ডুমুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন বলেন, দুজন চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে জানানো হয়েছে।

দাকোপ উপজেলার কৈলাসগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিহির মন্ডল আত্মগোপনে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব দেয়া হয় কমিশনার ভূমি মোঃ জাহাঙ্গীর জুবায়েরকে। পরে দায়িত্ব দিয়ে হয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.বঙ্কিম হালদারকে।

কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল পলাতক থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ইউপি সচিব সঞ্জয় মন্ডল জানান, চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) প্রশাসন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি বদলি হওয়ায় দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে সময় দিতে পারছেন না ফলে সব কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য কোহিনুর আলম বলেন,জন্ম নিবন্ধন প্রত্যয়ন পত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এছাড়া গ্রাম আদালতের কার্যক্রম না চলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
কয়রার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস বলেন,বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ দায়িত্ব পালন করা কঠিন। বিকল্প হিসেবে উপজেলা প্রশাসনে কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা ভাবা হচ্ছে।

এছাড়া বটিয়াঘাটার জলমা ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, সুর খালির জাকির হোসেন লিটু, ভান্ডারপাড়া ওবায়দুল হক,আমিরপুরের জিএম মিলন ও বালিয়াডাঙ্গা আসাফুর রহমান আত্মগোপনে রয়েছে।
রূপসা উপজেলায় পাঁচ চেয়ারম্যানের সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত। ৫ ই আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক। আইচগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুলের জায়গায় ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রশাসন। নৈহাটি অফিস চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুলের জায়গায় ইউপি সদস্য মো.ইলিয়াস শেখ, টিএসবি ইউনিয়ন পরিষদের মো.জাহাঙ্গীর শেখের বদলে ইউপি সদস্য আসাবুর রহমান, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজানের জায়গায় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম নন্দুকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার আজও ঘোড়া ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায়, বারাসাতের কে এম আলমগীর হোসেন, ছাগলাদাহের দ্বীন ইসলাম, ছাচিয়াদাহের বুলবুল আহমেদ ও মধুপুরের শেখ মোঃ মহসিন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন তেরখাদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম ওহিদুজ্জামান ও চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া গাজী, গাজিরহাটের ঠান্ডা মোল্লা, বারাকপুরের পাভেল গাজী, যোগীপোলের সাজ্জাদুর রহমান লিংকন পলাতক রয়েছে, ফুলতলার আটরা গিলেতলার চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন।

পাইকগাছার গদাইপুরের চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, কপিল মুনির চেয়ারম্যান কাওসার আলী জোয়াদ্দার ও লতারকাজল কান্তি বিশ্বাস কারাগারে রয়েছেন। সোলাদানার চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, চাঁদখালীর শাহজাদা মো আবু ইলিয়াস ও লস্করের কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন আত্মগোপনে রয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

সেবা পেতে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

খুলনার ৯ উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানরা পলাতক

আপডেট সময় ১০:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাহিদ জামান, খুলনা

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে খুলনা ৯ উপজেলা অন্তত ২৪ ইউপি চেয়ারম্যান চলে গেছেন আত্মগোপনে। কারাগারে রয়েছেন চারজন। সরকারি কর্মকর্তা আবার কোথাও প্যানেল চেয়ারম্যান কে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তারাও ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে।

গত ৫ ই আগস্ট পর থেকে লুকিয়ে আছেন রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক গাজী তৌহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতা ও অপহরণ মামলা রয়েছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য জানান চেয়ারম্যান তৌহিদ ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। আত্মগোপনে থেকে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাগজপত্র সই করেন।উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় হাজির হয়না।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুরেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান্য সনদ নিতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

লুকিয়ে আছেন উপজেলার ভান্ডারপড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দে। তার বিরুদ্ধে জমি দখলে অভিযোগের মামলা রয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন কবিরাজ কোনরকমে পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র যে জানান স্থানীয় বিএনপি’র লোকজনের হুমকি-ধামকি কারণে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছেন না।

ডুমুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন বলেন, দুজন চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে জানানো হয়েছে।

দাকোপ উপজেলার কৈলাসগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিহির মন্ডল আত্মগোপনে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব দেয়া হয় কমিশনার ভূমি মোঃ জাহাঙ্গীর জুবায়েরকে। পরে দায়িত্ব দিয়ে হয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.বঙ্কিম হালদারকে।

কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল পলাতক থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ইউপি সচিব সঞ্জয় মন্ডল জানান, চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) প্রশাসন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি বদলি হওয়ায় দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে সময় দিতে পারছেন না ফলে সব কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য কোহিনুর আলম বলেন,জন্ম নিবন্ধন প্রত্যয়ন পত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এছাড়া গ্রাম আদালতের কার্যক্রম না চলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
কয়রার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস বলেন,বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ দায়িত্ব পালন করা কঠিন। বিকল্প হিসেবে উপজেলা প্রশাসনে কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা ভাবা হচ্ছে।

এছাড়া বটিয়াঘাটার জলমা ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, সুর খালির জাকির হোসেন লিটু, ভান্ডারপাড়া ওবায়দুল হক,আমিরপুরের জিএম মিলন ও বালিয়াডাঙ্গা আসাফুর রহমান আত্মগোপনে রয়েছে।
রূপসা উপজেলায় পাঁচ চেয়ারম্যানের সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত। ৫ ই আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক। আইচগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুলের জায়গায় ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রশাসন। নৈহাটি অফিস চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুলের জায়গায় ইউপি সদস্য মো.ইলিয়াস শেখ, টিএসবি ইউনিয়ন পরিষদের মো.জাহাঙ্গীর শেখের বদলে ইউপি সদস্য আসাবুর রহমান, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজানের জায়গায় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম নন্দুকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার আজও ঘোড়া ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায়, বারাসাতের কে এম আলমগীর হোসেন, ছাগলাদাহের দ্বীন ইসলাম, ছাচিয়াদাহের বুলবুল আহমেদ ও মধুপুরের শেখ মোঃ মহসিন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন তেরখাদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম ওহিদুজ্জামান ও চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া গাজী, গাজিরহাটের ঠান্ডা মোল্লা, বারাকপুরের পাভেল গাজী, যোগীপোলের সাজ্জাদুর রহমান লিংকন পলাতক রয়েছে, ফুলতলার আটরা গিলেতলার চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন।

পাইকগাছার গদাইপুরের চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, কপিল মুনির চেয়ারম্যান কাওসার আলী জোয়াদ্দার ও লতারকাজল কান্তি বিশ্বাস কারাগারে রয়েছেন। সোলাদানার চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, চাঁদখালীর শাহজাদা মো আবু ইলিয়াস ও লস্করের কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন আত্মগোপনে রয়েছেন।