ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের এক বছরেও মিলেনি প্রকল্পের তথ্য Logo কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo বুড়িচ ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন Logo সরাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল Logo কিশোরগঞ্জে অপারেশন থিয়েটারে২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

খুলনা আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ঘোষনা

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ২১ জুন বুধবার খুলনার দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারক মতিউর রহমান আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম, আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক সুশান্ত দের কান্যা অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় দৌলতপুর সহ খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ। এই রায়ে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

SBN

SBN

খুলনা আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ঘোষনা

আপডেট সময় ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ২১ জুন বুধবার খুলনার দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারক মতিউর রহমান আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম, আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক সুশান্ত দের কান্যা অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় দৌলতপুর সহ খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ। এই রায়ে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।