ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম Logo চিন পিংয়ের প্রিয় উপাখ্যান’: ইতিহাসের গভীর জ্ঞানের এক উজ্জ্বল প্রকাশ Logo মালয়েশিয়া-চীন সম্পর্কের উচ্চ স্তরের প্রতিফলন : রাজা ইব্রাহিম Logo কুয়ালালামপুরে চীন-মালয়েশিয়া মানব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠান Logo ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অর্থনীতির অঞ্চল বাতিল ঘোষণার প্রসঙ্গে Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক-২ Logo বুড়িচংয়ে তিন জুয়ারীর ৭ দিনের জেল

খুলনা আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ঘোষনা

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ২১ জুন বুধবার খুলনার দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারক মতিউর রহমান আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম, আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক সুশান্ত দের কান্যা অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় দৌলতপুর সহ খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ। এই রায়ে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর?

SBN

SBN

খুলনা আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ঘোষনা

আপডেট সময় ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ২১ জুন বুধবার খুলনার দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারক মতিউর রহমান আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম, আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক সুশান্ত দের কান্যা অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় দৌলতপুর সহ খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ। এই রায়ে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।