ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চান্দিনায় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ Logo সামরিক বিধিনিষেধ ভাঙার চেষ্টায় জাপান: বিশ্বজনমতের কড়া নজরদারি Logo বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে শীর্ষ দশে চীন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব Logo ঘাটাইলে বিনিময় ও প্রান্তিক পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২২ Logo টাঙ্গাইল রংপুর মহাসড়কে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত১ Logo বুড়িচংয়ের শিবরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মিলন মেলা Logo তাহিরপুর সীমান্ত থেকে ২৪টি ইলেকট্রিক বিস্ফোরক ডেটোনেটর উদ্ধার Logo গলাচিপায় নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ দুই পাচারকারী আটক Logo রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

‘গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।

গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন।

আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি।

সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।

একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন।
এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।

এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না।
খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব।

তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনায় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ

SBN

SBN

‘গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়’

আপডেট সময় ০৬:০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।

গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন।

আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি।

সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।

একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন।
এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।

এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না।
খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব।

তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন।