ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গাইবান্ধায় নদী রক্ষায় ১০ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কবরাবর স্মারকলিপি পেশ Logo সুরক্ষাবাদের বিরুদ্ধে চীনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত Logo মহাকাশ স্টেশন সংযোগে স্বয়ংক্রিয় মিশন শেনচৌ-২২ Logo চীন-সার্বিয়া সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী মাতসুটের Logo ৬টি আধুনিকায়নের লক্ষ্যে চীন–দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিশ্রুতি Logo সহযোগিতাই লাভ:সি–ট্রাম্প ফোনালাপে অভিন্ন মত Logo কড়াইল বস্তিতে আগুন: চারদিকে শুধু পুড়ে যাওয়া টিন আর কংক্রিট ছাড়া কিছুই নেই Logo মোংলায় হরিণের মাংস ও ফাঁদসহ ১ শিকারি আটক Logo চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভাগ্যের ওপর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকিতে ফেলবে জাতীয় নির্বাচন

গাইবান্ধায় নদী রক্ষায় ১০ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কবরাবর স্মারকলিপি পেশ

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

দেশের নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের গাইবান্ধা শাখা। এ দাবিতে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ২৫ নভেম্বর ‘আশুলিয়া থেকে তেঁতুলিয়া’ রোডমার্চের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপর দুই দশক ধরে সংগঠনটি নদী রক্ষায় কাজ করে আসছে। ২০১৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং ২০১৯ সালে দেশের সব নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা—নদী আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনের দাবি, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রশাসনিক উদ্যোগ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।

সংগঠনটির ১০ দফা দাবি—

১. নদীকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি।
২. জাতীয় বাজেটে নদী উন্নয়ন ও নদী অর্থনীতির জন্য আলাদা বরাদ্দ।
৩. রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সুপ্রিম কোর্টের ১৭ দফা নদী নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।
৪. তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং যমুনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ।
৫. উজানের ২১৫টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের শরানাপন্ন হওয়া।
৬. নদী দখল, দূষণ, ভাঙন ও বালু উত্তোলন রোধে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ এবং ডেল্টা প্ল্যান–২১০০ বাস্তবায়ন।
৭. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ করা।
৮. তালিকাভুক্ত ৬০ হাজার নদী দখলদার ও দূষণকারীর বিচারের জন্য দ্রুত নদী ট্রাইব্যুনাল গঠন।
৯. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে অভিন্ন নদীর পানি–বণ্টনবিষয়ক কনভেনশন আয়োজন।
১০. গাইবান্ধার ২৪ নদী দখলমুক্ত ও দূষণরোধে জরুরি প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট ও বাঙ্গালীর মতো নদীগুলোতে পানি প্রবাহ থাকলেও জেলার বেশ কিছু নদী দখল ও দূষণে মৃতপ্রায়। এসব নদী উদ্ধার এখন জরুরি।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের গাইবান্ধা শাখার সভাপতি আবেদুর রহমান স্বপন এবং সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বুলু।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় নদী রক্ষায় ১০ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কবরাবর স্মারকলিপি পেশ

SBN

SBN

গাইবান্ধায় নদী রক্ষায় ১০ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কবরাবর স্মারকলিপি পেশ

আপডেট সময় ০৩:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

দেশের নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের গাইবান্ধা শাখা। এ দাবিতে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ২৫ নভেম্বর ‘আশুলিয়া থেকে তেঁতুলিয়া’ রোডমার্চের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপর দুই দশক ধরে সংগঠনটি নদী রক্ষায় কাজ করে আসছে। ২০১৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং ২০১৯ সালে দেশের সব নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা—নদী আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনের দাবি, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রশাসনিক উদ্যোগ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।

সংগঠনটির ১০ দফা দাবি—

১. নদীকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি।
২. জাতীয় বাজেটে নদী উন্নয়ন ও নদী অর্থনীতির জন্য আলাদা বরাদ্দ।
৩. রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সুপ্রিম কোর্টের ১৭ দফা নদী নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।
৪. তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং যমুনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ।
৫. উজানের ২১৫টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের শরানাপন্ন হওয়া।
৬. নদী দখল, দূষণ, ভাঙন ও বালু উত্তোলন রোধে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ এবং ডেল্টা প্ল্যান–২১০০ বাস্তবায়ন।
৭. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ করা।
৮. তালিকাভুক্ত ৬০ হাজার নদী দখলদার ও দূষণকারীর বিচারের জন্য দ্রুত নদী ট্রাইব্যুনাল গঠন।
৯. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে অভিন্ন নদীর পানি–বণ্টনবিষয়ক কনভেনশন আয়োজন।
১০. গাইবান্ধার ২৪ নদী দখলমুক্ত ও দূষণরোধে জরুরি প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট ও বাঙ্গালীর মতো নদীগুলোতে পানি প্রবাহ থাকলেও জেলার বেশ কিছু নদী দখল ও দূষণে মৃতপ্রায়। এসব নদী উদ্ধার এখন জরুরি।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের গাইবান্ধা শাখার সভাপতি আবেদুর রহমান স্বপন এবং সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বুলু।