ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসা সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিক বুলু’র মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও শঙ্কা মুক্ত হয়নি রূপসায় আজিজুল বারী হেলাল Logo বুড়িচংয়ে বিদুৎএর তারে জড়িয়ে এক কৃষকের মৃত্যু Logo বুড়িচংয়ে নানার বাড়ি ভেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু Logo নকলায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ৩ জনকে জরিমানা Logo নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবন এখন মাদকের আখড়া Logo নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে মধ্যরাতের লাঠি মিছিল Logo সুবর্ণচরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটো রিক্সা চালককে হত্যা, আটক ২ Logo খুলনায় র‍্যাবের হাতে চাঁদনী হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo মুরাদনগরে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া

সরকার জামাল

গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। সুত্রে জানা যায় যে গুলশান এলাকায় যত অপরাধ অপকর্ম হচ্ছে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে রেব ওয়ানের এক কর্মকর্তার নাম বিক্রি করে মাশুয়ারা উঠাচ্ছেন শাহ আলম এই প্রভাবে সকল অপরাধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম । এ বিষয়ে শাহ আলম থেকে এসব তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন যে গুলশানের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

পরবর্তী প্রতিবদনে গুলশানের যে সব সাংবাদিকদের দিয়ে অংকে প্রধান করেন তাদের নামের তালিকা এবং মোবাইল নাম্বার সহ প্রকাশ করা হবে ।রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশানে স্পাসেন্টারের আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। অভিযোগ রয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কম বয়সী তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে, আটকে রেখে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে। মাদক সেবন, ব্ল্যাকমেইল, ও অন্যান্য অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব স্পা সেন্টার, যেগুলো দিনে দিনে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানে গেলে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দিচ্ছে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন কথিত এক সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আলাউদ্দিন ০১৭৪৮৮৯১০১৯ নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকির সৌরভ বলেন যে সকলকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। আপনাদের মতো সাংবাদিকদের এখানে কিছুই কাজ নাই।

স্পা সেন্টারের এই তালিকায় উঠে এসেছে শাহ আলম নামে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম, যিনি রাজধানীর গুলশান-০১ এলাকার রবি টাওয়ার সংলগ্ন একটি ভবনের এনসিসি ব্যাংকের উপরের তলায় একটি স্পা সেন্টার পরিচালনা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার আড়ালে এখানে পরিচালিত হয় গোপন কর্মকাণ্ড। স্কুল-কলেজপড়ুয়া তরুণীদের আনাগোনা, রঙিন আলোয় সজ্জিত পরিবেশ ও সিসিটিভির মাধ্যমে বাইরের নজরদারি এসব অভিযোগকে আরও জোরালো করে তোলে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাতারাতি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় স্পার আড়ালে পতিতাবৃত্তির মতো গর্হিত কাজ পরিচালনা করছেন শাহ আলম ও তার সহযোগীরা। এর পাশাপাশি রয়েছে মাদক সরবরাহ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগও।

সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন থেকে বিউটি পার্লার বা ব্যায়ামাগারের লাইসেন্স নিয়ে বাস্তবে চলছে ভিন্নধর্মী ব্যবসা। গুলশান-বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে এমন অনেক স্পা সেন্টার, যেগুলোর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন, স্বল্প পোশাকে তরুণীদের ছবি, এবং প্রলোভনমূলক অফারের মাধ্যমে তরুণদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এরপর এসব কর্মকাণ্ড গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, নিয়মিত মাসোয়ারার মাধ্যমে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় শাহ আলম তার ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। ভবনের আশপাশে সবসময় থাকে শাহ আলমের লোকজন। স্পা সেন্টারের ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট কেবিন, যেখানে ঘটে এসব অনৈতিক কাজ। উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এখানে নিয়মিত যাতায়াত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পার নামে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল সামাজিক অবক্ষয়ই ডেকে আনছে না, বরং যুব সমাজকে বিপথেও ঠেলে দিচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসা সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিক বুলু’র মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া

আপডেট সময় ০১:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সরকার জামাল

গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। সুত্রে জানা যায় যে গুলশান এলাকায় যত অপরাধ অপকর্ম হচ্ছে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে রেব ওয়ানের এক কর্মকর্তার নাম বিক্রি করে মাশুয়ারা উঠাচ্ছেন শাহ আলম এই প্রভাবে সকল অপরাধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম । এ বিষয়ে শাহ আলম থেকে এসব তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন যে গুলশানের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

পরবর্তী প্রতিবদনে গুলশানের যে সব সাংবাদিকদের দিয়ে অংকে প্রধান করেন তাদের নামের তালিকা এবং মোবাইল নাম্বার সহ প্রকাশ করা হবে ।রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশানে স্পাসেন্টারের আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। অভিযোগ রয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কম বয়সী তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে, আটকে রেখে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে। মাদক সেবন, ব্ল্যাকমেইল, ও অন্যান্য অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব স্পা সেন্টার, যেগুলো দিনে দিনে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানে গেলে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দিচ্ছে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন কথিত এক সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আলাউদ্দিন ০১৭৪৮৮৯১০১৯ নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকির সৌরভ বলেন যে সকলকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। আপনাদের মতো সাংবাদিকদের এখানে কিছুই কাজ নাই।

স্পা সেন্টারের এই তালিকায় উঠে এসেছে শাহ আলম নামে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম, যিনি রাজধানীর গুলশান-০১ এলাকার রবি টাওয়ার সংলগ্ন একটি ভবনের এনসিসি ব্যাংকের উপরের তলায় একটি স্পা সেন্টার পরিচালনা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার আড়ালে এখানে পরিচালিত হয় গোপন কর্মকাণ্ড। স্কুল-কলেজপড়ুয়া তরুণীদের আনাগোনা, রঙিন আলোয় সজ্জিত পরিবেশ ও সিসিটিভির মাধ্যমে বাইরের নজরদারি এসব অভিযোগকে আরও জোরালো করে তোলে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাতারাতি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় স্পার আড়ালে পতিতাবৃত্তির মতো গর্হিত কাজ পরিচালনা করছেন শাহ আলম ও তার সহযোগীরা। এর পাশাপাশি রয়েছে মাদক সরবরাহ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগও।

সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন থেকে বিউটি পার্লার বা ব্যায়ামাগারের লাইসেন্স নিয়ে বাস্তবে চলছে ভিন্নধর্মী ব্যবসা। গুলশান-বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে এমন অনেক স্পা সেন্টার, যেগুলোর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন, স্বল্প পোশাকে তরুণীদের ছবি, এবং প্রলোভনমূলক অফারের মাধ্যমে তরুণদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এরপর এসব কর্মকাণ্ড গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, নিয়মিত মাসোয়ারার মাধ্যমে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় শাহ আলম তার ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। ভবনের আশপাশে সবসময় থাকে শাহ আলমের লোকজন। স্পা সেন্টারের ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট কেবিন, যেখানে ঘটে এসব অনৈতিক কাজ। উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এখানে নিয়মিত যাতায়াত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পার নামে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল সামাজিক অবক্ষয়ই ডেকে আনছে না, বরং যুব সমাজকে বিপথেও ঠেলে দিচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।