
মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
রাজধানীতে জিদনী আক্তার (১০) নামের এক শিশু গৃহপরিচারিকাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চাতল গ্রামের অসহায় দরিদ্র শরিফ মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, জিদনী আক্তার রাজধানীর লালবাগের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত।
তার দাদা দাদি ও তার বাবা-মা জানায়, একবছর আগে আজিমপুর লালবাগ বড় মসজিদ এলাকার জামান শাহ ও আসমা আক্তার দম্পতির বাসায় কাজের জন্য জিদনী আক্তারকে দেয়া হয়।
এরপর থেকেই সে বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত জিদনী। ওই বাসায় প্রায়ই নির্যাতনের কথা পরিবারকে জানাতো সে। বিভিন্ন সময় পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলেও তাকে কথা বলতে দেওয়া হতো না। জিদনী আক্তারের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি এম্বুলেন্সে করে জিদনীর মরদেহ নিয়ে পূর্ব চাতল গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনজন লোক। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আসমা আক্তারের সহোদর ভাই৷ এসময় তারা জানান, অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা ও বমির কারণে জিদনীর মৃত্যু হয়েছে। পরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ নামিয়ে পরিবারের লোকজন জিদনীর গায়ে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। এ সময় মরদেহ নিয়ে আসা দুইজন পালিয়ে যায়। অপর ব্যক্তি আসমা আক্তারের ভাই মুজাহিদকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মোঃ মহসীন ও আরো পুলিশ সদস্যসের হাতে তুলে দেয়।
কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মো. মহসীন জানান, প্রাথমিক সুরতহাল শেষে এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে হয়েছে। ভিকটিমের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।