ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

গোমতী নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার জেলা এবং বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা আগামী ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার ৩ আগষ্ট দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখল দারিত্ব কঠোর ভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দুই তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী অ্যাডভোকেট মোঃ একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ।

তিনি বলেন, “গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।”

তিনি আরও বলেন, “আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।”

আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

SBN

SBN

গোমতী নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় ০৬:০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার জেলা এবং বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা আগামী ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার ৩ আগষ্ট দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখল দারিত্ব কঠোর ভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দুই তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী অ্যাডভোকেট মোঃ একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ।

তিনি বলেন, “গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।”

তিনি আরও বলেন, “আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।”

আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।