মোঃ সোহেল আমান
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাওসার আলির বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রীতি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর একটি প্রজেক্ট (L.D.D.P) Livestock Dairy Developmant project এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ project এর কাজ চলমান আছে । (L.D.D.P) আওতায় গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাজ চলমান রয়েছে। সেক্ষেত্রে গ্রামীণ অঞ্চলের প্রত্যন্ত গরু, ছাগল, মুরগি, ভেড়া খামারিদের সার্বিক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা খামারিদের নিয়ে এবং বিশেষ করে প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে মোট ১৪ টি সমিতি করা রয়েছে। খামারিদের যে সমিতি রয়েছে তার নাম হলো ( P.G.) producer group মানে উৎপাদন কারী দল হোক সেটা মাংস কিংবা দুধ। দুধ এবং মাংস উৎপাদন অধিক করার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর আন্ডারে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
যার নাম হচ্ছে ( L.D.D.P) আর L.D.D.P এর আওতার মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারিদের প্রতি মাসে একটি করে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে থাকে আর এই ট্রেনিং খামারিদের জন্য যে বরাদ্দ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা
যেমন ট্রেনিং এর জন্য খাতা, কলম, ফাইল, নাস্তা দুপুরের খাবার ইত্যাদি সেগুলো গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাউসার আলী খামারিদের দিচ্ছে না। শুধু নাস্তা ও যাতায়াতের জন্য ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। গোমস্তাপুর উপজেলায় মোট খামারির সংখ্যা ৫৫৬ জন প্রতিজন খামারির জন্য ফাইল নাস্তা দুপুরের খাবারের বরাদ্দ থাকে এখানে শুধু নাস্তা দিয়েই ট্রেনিং শেষ করা হয়। এভাবে গত জানুয়ারি মাস থেকে ৫/৬ টি ট্রেনিং এভাবে খামারিদের বরাদ্দ লোপাট করেছে গোমস্তাপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা ডাঃ কাউসার আলী তার বিরুদ্ধে চলতি মাসে গত ১৫ তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে মৌখিক ভাবে একজন খামারির অভিযোগ দেওয়ায় ১৬ তারিখ থেকে সঠিক ভাবে দেয়া শুরু করেছে কিন্তু খাবারের মানটি ভালো না। খামারিদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তারা বলেন গত ৫/৬ টি ট্রেনিং এর খাতা কলম ফাইল বাবদ ২০টাকা এবং দুপুরের খাবার বাবদ ২৫০ টাকা করে মোট ৫৫৬জন খামারির এই সব বাবদ ৯০০৭২০ টাকা লোপাট করেছে।
তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে করোনা কালীন সময় যে প্রাণদোনা গুলো দিয়েছিল সেটিরও সঠিক ব্যবহার করেনি। এগুলো তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে দিয়ে লোপাট করেছে এবং তার বিরুদ্ধে নিউজ ও হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আর ও অভিযোগ রয়েছে যে গরুর খামার রেজিস্টার নির্ধারিত ফির চাইতে অনেক গুন টাকা নিয়ে খামার রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। খামার রেজিস্ট্রেশন করতে খামারি প্রতি ৮/১০ দশ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।