
এই জরিপটি প্রধান উন্নত দেশ এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর ১৮ বছরের ওপর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পরিচালিত হয়। অনলাইন নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে পরিচালিত এই গবেষণার প্রধান ফলাফল নিম্নরূপ:
‘দুই পর্বত’ ধারণার বৈশ্বিক স্বীকৃতি:
৮১.৬% বৈশ্বিক উত্তরদাতা মনে করেন ‘দুই পর্বত’ ধারণা ‘প্রথমে দূষণ, পরে সংশোধনে’র প্রচলিত উন্নয়ন মডেলকে ভেঙে দিয়েছে। ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর উত্তরদাতাদের মধ্যে এই স্বীকৃতির হার আরো বেশি।
চীনের সবুজ উন্নয়ন অর্জন:চীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মূল্যায়নে, বৈশ্বিক উত্তরদাতাদের শীর্ষ তিন স্বীকৃতি হলো:শক্তি কাঠামো রূপান্তর (৭৩.৮%),শক্তি সাশ্রয় ও নির্গমন হ্রাস (৭৩.২%),বনায়ন (৬৮%),জলসম্পদ সুরক্ষা,
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মরুকরণ প্রতিরোধ, তৃণভূমি সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে ৬০ শতাংশেরও বেশি স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। জলাভূমি সুরক্ষা বিষয়ে স্বীকৃতির হারও ৫৮.১% এ পৌঁছেছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় চীনের অবদান:‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর উত্তরদাতারা, বিশেষ করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরদাতারা চীনের পরিবেশগত অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিকভাবে শেয়ার করার পদ্ধতি সম্পর্কে উচ্চ মূল্যায়ন দিয়েছেন:
৮২.৫% আফ্রিকান ও ৭৭.৪% দক্ষিণ আমেরিকান উত্তরদাতা চীনের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি সমর্থনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
৮০.৯% আফ্রিকান ও ৭৫% দক্ষিণ আমেরিকান উত্তরদাতা চীনের মরুকরণ প্রতিরোধ অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি শেয়ার করাকে সমর্থন করেছেন। ৯৩.৪% আফ্রিকান ও ৯১.৪% দক্ষিণ আমেরিকান উত্তরদাতা মনে করেন মরুকরণ প্রতিরোধ চীনের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প বিশ্বকে মূল্যবান অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিচালনা প্রক্রিয়ায় চীনের ভূমিকা: বৈশ্বিক উত্তরদাতাদের মধ্যে, চীনের ভূমিকা সম্পর্কে মূল্যায়নে শীর্ষ তিন অবস্থানে আছে: প্রণোদক (৪৯.৭%), নেতা (৪৩.৯%), বাস্তবায়নকারী (৪৩.৫%)।
‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর উত্তরদাতাদের মধ্যে এই হার আরো বেশি, যথাক্রমে ৫৭.১%, ৫২.৭% ও ৪৮.২%।
সূত্র: স্বর্ণা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।