ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষখোর ভূমি রাজ ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র

বিশেষ প্রতিনিধি

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র এর বিরুদ্ধে নামজারি সহ অন্যান্য কাজে সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরে গ্রাহকদের থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সুত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিস ঘুষের অভয়ারণ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। ভূমি অফিসে নামজারি করতে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলতে চাইলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (গ্রাহক যেন হয়রানি শিকার না হয় সেই জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হল) নামজারির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ১১৭০ টাকা জমা দেওয়ার পরে নাজির শুভ্রকে তার দাবি কৃত দশ হাজার টাকা না দেওয়ার ফলে আজ বিগত আট নয় মাস থেকে আমি ঘুরাঘুরি করেও আমার জমির নাম জারি করতে পারেনি।

ভূমি অফিসে সরকারি সেবা নিতে আসা আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র নিজেকে ভূমি রাজ হিসেবে দাবী করেন, প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের কাছে প্রশ্ন করেন নাজির শুভ্র সাহেব কে আপনারা কেন ভুমিরাজ নাম উপাধি দিলেন, উত্তরে ভুক্তভোগীরা বলেন তিনি আপাদমস্তক একজন ঘুষখোর। ঘুষের টাকা না দিলে বছরের পর বছর আপনাকে নামজারির জন্য ঘুরতে হবে কিন্তু কোন কাজ হবে না।

আবার নামজারির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরের সাত থেকে দশ হাজার টাকা দিলেই নাজির শুভ্র দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে দেন যার বহু নজির ভান্ডারিয়া উপজেলা রয়েছে।প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চান নাজির শুভ্র এর এই সকল অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড (ভুমি কমিশনার) কে অবগত করেছিলেন উত্তরে ভুক্তভোগীরা বলেন নাজির শুভ্র এর বিরুদ্ধে বহুবার মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড স্যারকে জানানো হয়েছে কিন্তু তারপরেও কোন লাভ হয়নি যেই লাউ সেই কদু রয়ে গেল।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় পিরোজপুর আদালত থেকে ১৪৪/১৪৫ ধারার মামলাগুলোর তদন্ত ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসে আসার পর নাজির শুভ্রকে মোটা অংকের উৎকোচ দিলে তিনি সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য রূপান্তরিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত এই রকম বহু নজির ভান্ডারিয়া উপজেলায় রয়েছে।এমনকি নাম জারির ক্ষেত্রে একই খতিয়ান একই দাগের জায়গা মোটা অংকের ঘুষের বিনিময় কয়েকজনের নামে নামজারি করে দেন যাহা সম্পূর্ণরূপে আইন বহির্ভূত, কিন্তু তিনি আর ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন থেকে এইরকম অনিয়ম কাজ গুলো করে যাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

পরবর্তীতে এই সকল বিষয়ে জানতে ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুক্তির লড়াই কে বলেন সাংবাদিক ভাই যে বা যারা আপনার কাছে অভিযোগ করেছে, অভিযোগগুলো সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।পরবর্তীতে দৈনিক মুক্তি লড়াই এর প্রতিবেদক তাকে বলেন যে আপনার ঘুষ নেওয়ার তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।প্রতিবেদকের বক্তব্য শুনে তিনি বলেন এখন আমাকে কি করতে হবে বলেন? আর ঘুষ তো আমি একা খাই না! উপরমহলকে ম্যানেজ করে আমাদের চাকরি করতে হয়।

ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির ভূমি রাজ নাজির শুভ্র উপর মহল বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুষখোর ভূমি রাজ ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র

আপডেট সময় ০৪:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র এর বিরুদ্ধে নামজারি সহ অন্যান্য কাজে সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরে গ্রাহকদের থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সুত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিস ঘুষের অভয়ারণ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। ভূমি অফিসে নামজারি করতে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলতে চাইলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (গ্রাহক যেন হয়রানি শিকার না হয় সেই জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হল) নামজারির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ১১৭০ টাকা জমা দেওয়ার পরে নাজির শুভ্রকে তার দাবি কৃত দশ হাজার টাকা না দেওয়ার ফলে আজ বিগত আট নয় মাস থেকে আমি ঘুরাঘুরি করেও আমার জমির নাম জারি করতে পারেনি।

ভূমি অফিসে সরকারি সেবা নিতে আসা আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র নিজেকে ভূমি রাজ হিসেবে দাবী করেন, প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের কাছে প্রশ্ন করেন নাজির শুভ্র সাহেব কে আপনারা কেন ভুমিরাজ নাম উপাধি দিলেন, উত্তরে ভুক্তভোগীরা বলেন তিনি আপাদমস্তক একজন ঘুষখোর। ঘুষের টাকা না দিলে বছরের পর বছর আপনাকে নামজারির জন্য ঘুরতে হবে কিন্তু কোন কাজ হবে না।

আবার নামজারির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরের সাত থেকে দশ হাজার টাকা দিলেই নাজির শুভ্র দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে দেন যার বহু নজির ভান্ডারিয়া উপজেলা রয়েছে।প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চান নাজির শুভ্র এর এই সকল অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড (ভুমি কমিশনার) কে অবগত করেছিলেন উত্তরে ভুক্তভোগীরা বলেন নাজির শুভ্র এর বিরুদ্ধে বহুবার মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড স্যারকে জানানো হয়েছে কিন্তু তারপরেও কোন লাভ হয়নি যেই লাউ সেই কদু রয়ে গেল।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় পিরোজপুর আদালত থেকে ১৪৪/১৪৫ ধারার মামলাগুলোর তদন্ত ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসে আসার পর নাজির শুভ্রকে মোটা অংকের উৎকোচ দিলে তিনি সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য রূপান্তরিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত এই রকম বহু নজির ভান্ডারিয়া উপজেলায় রয়েছে।এমনকি নাম জারির ক্ষেত্রে একই খতিয়ান একই দাগের জায়গা মোটা অংকের ঘুষের বিনিময় কয়েকজনের নামে নামজারি করে দেন যাহা সম্পূর্ণরূপে আইন বহির্ভূত, কিন্তু তিনি আর ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন থেকে এইরকম অনিয়ম কাজ গুলো করে যাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

পরবর্তীতে এই সকল বিষয়ে জানতে ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির শুভ্র এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুক্তির লড়াই কে বলেন সাংবাদিক ভাই যে বা যারা আপনার কাছে অভিযোগ করেছে, অভিযোগগুলো সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।পরবর্তীতে দৈনিক মুক্তি লড়াই এর প্রতিবেদক তাকে বলেন যে আপনার ঘুষ নেওয়ার তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।প্রতিবেদকের বক্তব্য শুনে তিনি বলেন এখন আমাকে কি করতে হবে বলেন? আর ঘুষ তো আমি একা খাই না! উপরমহলকে ম্যানেজ করে আমাদের চাকরি করতে হয়।

ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের নাজির ভূমি রাজ নাজির শুভ্র উপর মহল বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,