
মোহাম্মদ আলী সুমন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগঠন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন- চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি জনতা সবাই এটার মালিক। অত্যন্ত স্বচ্ছাতার সাথে আমরা এই সম্পদ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কোন প্রতিযোগিতা ছাড়া এই সম্পদ ইজারা দেয়া হয়েছে। বন্দর ইজারা দেয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে গণতান্ত্রিক যুবদলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ড. ইউনুস তার পকেটের লোকজন নিয়ে একটি বিশেষ দেশকে সুবিধা দেয়ার জন্য তিনি ক্ষমতায় বসেছেন। কিন্তু এদেশের মানুষ তার এই দুর্বিসন্ধির কথা জানতো না। ইতিমধ্যে তিনি তার কিছু কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি এই দেশ ও জাতিকে ভালবাসেন না। ক্ষমতার মসনদে বসে যদি কেউ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করে তাহলে দেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- আমাদের দেশে যদি কোন কাজ করতে হয় তাহলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেই কাজের অগ্রগতি করতে হয়। কিন্তু তিনি আমাদের দেশের মূল্যবান স্থাপনা আজকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লুকিয়ে লুকিয়ে ইজারা দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ মাসে সফলতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা নানা ভাবে দুর্নীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
এলডিপি মহাসচিব বলেন- তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ফোন, গ্রামীণ ব্যাংক এই প্রতিষ্ঠান গুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা সুদ তিনি মওকুফ করে নিয়েছেন। এই কাজও তিনি করতে পারেন না। নির্বাহী আদেশে তিনি নানা অপরাধ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার যেমন অপরাধের জন্য আদালতে বিচার হয়েছে আমার মনে হয় ড. ইউনুছ যে সমস্ত অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য বাংলার মাটিতে তারও বিচার হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র নেতৃত্বে আমরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলেই এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো বলে মনে করি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 

























