চীন ও আরব দেশগুলোর সহযোগিতা ফোরামের দশম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ৩০ মে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে বাহরাইনের বাদশাহ শেখ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, আগামী ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত, চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন এবং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেং লি ২৭ মে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চার আরব দেশের নেতার উপস্থিতি চীন ও আরব দেশগুলোর ঐক্য ও সহযোগিতা, এবং চীন-আরব সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। ৩০ মে সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চার নেতার সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং মূল-বক্তব্য রাখবেন।
পরে প্রেসিডেন্ট সি চার নেতার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করবেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উভয় পক্ষের অভিন্ন উদ্বেগের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন।
তেং লি বলেন, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, মানবাধিকার, উন্নয়ন ও সভ্যতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে চীন ও আরব দেশের সঙ্গে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত রয়েছে। ভবিষ্যতে চীন, আরব দেশগুলোর সঙ্গে চীন-আরব অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হিসেবে, চীন-আরব বন্ধুত্বের চেতনা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ, সহযোগিতার মডেল তৈরি করবে।
তিনি আরো বলেন, এবারের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে গভীর আলোচনা করবেন, যার লক্ষ্য হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজার সংঘাত শেষ করে শান্তি বাস্তবায়ন করা এবং আন্তর্জাতিক সমাজকে আরো দৃঢ় সংকল্প ও পদক্ষেপের সঙ্গে ‘দুই-রাষ্ট্র নীতি’ বাস্তবায়নে চাপ দেওয়া, শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন করা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর হল চীন-আরব সহযোগিতা ফোরাম প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও আরব দেশের মধ্যে পারস্পরিক কৌশলগত আস্থা ও সহযোগিতা অব্যাহতভাবে গভীরতর হয়েছে। চীন ২২টি আরব দেশ ও আরব লীগের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, ১৭টি আরব দেশ এশিয়া অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের সদস্য হয়েছে। চীন বহু বছর ধরে আরব দেশগুলোর বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, গত দুই বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
সূত্র: তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।