
বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের আরামবাগ বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ফুটপাতের দোকানে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ১৪-৪-২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আব্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে ডিবি আরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সমির, আক্তার, মাছুম, হেলালসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় মোঃ ছমির হোসেন(৩৮) বাদী হয়ে ১৫-৪-০২৫ ইং তারিখে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার স্মারক নং:- ২১৫০(৬)১।
ফৌজদারী কার্যবিধি:- ১৮৯৮ এর ১৫৪ ধারার ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪ পিনাল কোড-১৮৬০ অপরাধের শিরোনামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হইয়া হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় গুরুতর জখম। মামলার ১ নং আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফ(২২)পিতা: বাবুল হাওলাদার,(২নং) মাহিন খান মিন্টু(৩৬)পিতা: আব্দুর রহিম খান,(৩নং)মো: ফারুক(৪৫) পিতা: খালেক সরকার (৪নং) আক্তার হোসেন (৪৫)। (৫নং) বিল্লাহ সহ অজ্ঞত আরো ২০-২৫ জন নামে মামলা দায়ের করেন।
চাঁদাবাজিও হত্যাচেষ্টা মামলায় নেতৃত্বেদানকারী এক নং আসামি মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে ডিবি আরিফ সহ তিনিজন আসামিকে সেনাবাহিনী ও মতিঝিল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এক নম্বর আসামি মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আব্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে ডিবি আরিফ-সহ গতরাতে সেনাবাহিনী ও মতিঝিল থানা পুলিশের টিম যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তারের পরে এক নম্বর আসামি আরিফের আরামবাগের অফিস থেকে হামলায় ব্যবহারকৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে একটি রামদা, একটি চাপাতি, একটি লোহার রড, একটি হকি স্টিক সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র।
মামলার বাদী ছমির হোসেনের সাথে গত কালকের ঘটনার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন।৫ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখের পর এক নম্বর আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে ডিবি আরিফ এর নেতৃত্বে মতিঝিল আরামবাগ ফকিরাপুল এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করা মানুষগুলোর উপর পারমাণবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।তারই ধারাবাহিকতায় ফকিরাপুল আরামবাগ বক্স কালভার্ট রোডে হোটেল পারাবত এর সামনে ফুটপাতের দোকানদার ইসমতের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সন্ত্রাসী আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে ডিবি আরিফ।
চাঁদা দাবির বিরুদ্ধে আমরা কয়েকজন তখন প্রতিবাদ করলে আরিফ আমাদেরকে বলেন ঠিক আছে সন্ধ্যার পর ফুটবল ফেডারেশনের পিছনে আসবেন, আরিফের কথা মত ইসমত সহ আমরা রাত আনুমানিক নয় ঘটিকার সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পিছনে (বাফুফে) আরামবাগ বক্স কালভার্ট রোডে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এক নাম্বার আসামি আরিফ সহ মামলায় উল্লেখিত আসামিগণ আমাদের উপর হামলে পড়ে আমাদের সাথে থাকা কয়েকজনকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে।উক্ত হামলার মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় আকতারের অবস্থা আশঙ্কাজন।
মামলার বাদী মোঃ ছমির হোসেন আরও বলেন সন্ত্রাসী আরিফ যখন তার সঙ্গে আসা অন্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তখন আমাদের পরিচিত মইনুল ইসলাম নামে এক ভাই গুলিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্পে কল দিলে সেনাবাহিনীর একটি টিম মতিঝিল থানা পুলিশের একটি টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ তিন জন গ্রেফতার করে হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে ডিবি আরিফ এর অফিস থেকে।
মামলার বাদী আরো বলেন গতকালকের ঘটনায় সন্ত্রাসদের গ্রেফতার ও আমাদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য আমি অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টিম ও মতিঝিল থানা পুলিশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।