মোঃ সোহেল আমান
রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌরসভাধীন ৬ নম্বর ওর্য়াড বালিগ্রাম এলাকায় কসাইখানা স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার। কসাইখানা স্থাপনের জন্য এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ। তারা বলেন এর আগে পৌর কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিল এই কসাইখানা এখানে হবে না, এটা খালঘাট এলাকায় হবে। তাদের দাবী এই কসাইখানা অন্য কোন জায়গায় করা হোক। তারা জানান, কসাইখানা সংলগ্ন রয়েছে স্পর্শ কাতর হার্ট ফাউন্ডেশন, চক্ষু হাসপাতাল, জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নূরানী মাদ্রাসা ও আবাসিক এলাকা। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন এলাকাবাসীকে বলেছিল এই যে দরখাস্ত লিখে সই করে দিলাম, যেন এই কসাইখানা এই খানে না হয় এবং অন্য জায়গায় হয় এই সুপারিশ করলাম। আপনারা কেউ উত্তপ্ত হবেন না। স্থানীয়রা বলেন, এখন হঠাৎ করেই রুহুল চেয়ারম্যান দুই মুখি আচরণ করছেন। সে আর আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি। যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম চাপা খোব বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এই কসাইখানার বর্জ্যের গন্ধে
অনেক সময় আমাদের খুবই খারাপ লাগে। না পারি কাউকে কিছু বলতে, না পারি কিছু করতে। ছেলে মেয়েরা স্কুলে ক্লাস করার সময় বর্জ্যের দুর্গন্ধে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক অসুস্থ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার সময়ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে আরও অসুস্থ অনুভব করে। বর্ষার সময় জবাইকৃত গরুর বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে এলাকার বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে। তার কারণ হলো পানি নিষ্কাশনের কোন পথ বা ড্রেন নেই। কোমলমতি বাচ্চারা যখন স্কুল যাওয়া আসা করে তখন অনেক সময় কসাই খানার বর্জ্যে ও পানি রাস্তায় জমে থাকে। যার ফলে অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পঁচা পানির উপর দিয়েই কোমলমতি বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া আসা করে। বাতাসের সঙ্গে বর্জ্যের দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
তারা আরও বলেন, কিভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর এতো স্পর্শ কাতর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই কসাইখানা স্থাপনের জন্য অনুমতি দিয়েছেন তা আমরা বুজে উঠতে পারছিনা। পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে এই জায়গায় কসাইখানা স্থাপনের জন্য অনুমতি দিলো তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।