ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদিত Logo চাঁদপুরে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাজা জব্দ Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে Logo আওয়ামীলীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪কর্মীকে কুপিয়ে জখম Logo সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের সপ্তাহ ব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ Logo হিজলায় ড্রেজার বাল্কহেড ও নগদ টাকা সহ ৬ দুষ্কৃতিকারীকে আটক Logo নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ Logo লাকসাম প্রেসক্লাবে বদিউল আলম সভাপতি. ফারুক আল শারাহ সম্পাদক নির্বাচিত Logo আস-সুন্নাহ’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুরে ঘর প্রদান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাশ হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেপ্তার

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় চঞ্চল্যকর অটোরিকশাচালক পলাশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও অটোরিকশার চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে আরও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশা চুরির উদ্দেশে বন্ধু পলাশকে ডেকে নেয় রকি ও জনি। প্রথমে তারা এক সঙ্গে বাংলা মদ পান করে। এর একপর্যায়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে পলাশকে হত্যা করে তার দুই বন্ধু। পরে লাশ সরিষাখেতে ফেলে রেখে যায় তারা। এর পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করা অটোরিকশার যন্ত্রাংশ খুলে নওগাঁর নেয়ামতপুর এবং রাজশাহীর তানোরে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে পলাশের বন্ধু জনি ও রকি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর তানোরের মো. রকি (৩২), মতিহার থানার মো. জনি (২৪), তানোরের হাতিশাহিলপাড়ার মো. জুয়েল (৪০) ও নওগাঁর চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার মো. সানোয়ার হোসেন (২৪)। তাদের মধ্যে চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কালীনগর গোদাইটোলা গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অটোরিকশা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যান। ঐ দিন সন্ধ্যায় আমনুরা-লক্ষ্মীপুর মোড়ে ছেলের অটোরিকশায় তার দুই বন্ধু জনি ও রকিকে দেখেন পলাশের বাবা ও মামলার বাদি। গভীর রাত হলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনদের বাড়িতে পলাশের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু না পেয়ে সদর মডেল থানায় জিডি করেন পলাশের বাবা। এর তিনদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির নয়ানগর সরকারি সার গোডাউনের পাশের একটি সরিষাখেত থেকে নিহত পলাশের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদিত

SBN

SBN

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাশ হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় চঞ্চল্যকর অটোরিকশাচালক পলাশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও অটোরিকশার চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে আরও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশা চুরির উদ্দেশে বন্ধু পলাশকে ডেকে নেয় রকি ও জনি। প্রথমে তারা এক সঙ্গে বাংলা মদ পান করে। এর একপর্যায়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে পলাশকে হত্যা করে তার দুই বন্ধু। পরে লাশ সরিষাখেতে ফেলে রেখে যায় তারা। এর পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করা অটোরিকশার যন্ত্রাংশ খুলে নওগাঁর নেয়ামতপুর এবং রাজশাহীর তানোরে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে পলাশের বন্ধু জনি ও রকি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর তানোরের মো. রকি (৩২), মতিহার থানার মো. জনি (২৪), তানোরের হাতিশাহিলপাড়ার মো. জুয়েল (৪০) ও নওগাঁর চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার মো. সানোয়ার হোসেন (২৪)। তাদের মধ্যে চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কালীনগর গোদাইটোলা গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অটোরিকশা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যান। ঐ দিন সন্ধ্যায় আমনুরা-লক্ষ্মীপুর মোড়ে ছেলের অটোরিকশায় তার দুই বন্ধু জনি ও রকিকে দেখেন পলাশের বাবা ও মামলার বাদি। গভীর রাত হলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনদের বাড়িতে পলাশের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু না পেয়ে সদর মডেল থানায় জিডি করেন পলাশের বাবা। এর তিনদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির নয়ানগর সরকারি সার গোডাউনের পাশের একটি সরিষাখেত থেকে নিহত পলাশের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল বলেও জানান তিনি।