
মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জেলা পুলিশ সুপার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বিশেষভাবে দাওয়াত দিয়ে আনছেন এবং পরে জনগণের ক্ষোভের মুখে নিজের দায় এড়াতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন। জেলা বাসীর অভিযোগ, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সম্প্রতি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে, আলোচিত এক নেতাকে ‘মোটর শ্রমিক নেতা’ হিসেবেই চেনা হতো। তবে জেলার সাধারণ মানুষ মনে করেন, এসপি এই যুক্তি দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এর আগে মহিলা লীগ সংক্রান্ত কর্মসূচির সময়ও একই ধরনের অজুহাত দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
জেলা বাসীর দাবি, এসপি কার্যকলাপ স্পষ্টতই আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত ও সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটি গণতন্ত্রের পক্ষে এবং দলীয় প্রশাসন এখানে চলবে না। এসপি সাহেবকে দ্রুত প্রত্যাহার করা না হলে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবার সামনে জামাতে ইসলামী এক নেতা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করে ঐ সুযোগে আওয়ামী লীগের কৃষক লীগ জেলা সভাপতি আব্দুস সামাদ বকুল পালিয়ে যায় এসপি তাকে দাওয়াত দিয়ে দেখে এনেছি।
জেলা বাসী এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে এসপি রেজাউল করিমের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।