
টি. আর. দিদার, চান্দিনা (কুমিল্লা)
ছাদ থেকে ফেলে দারোয়ানকে হত্যার ঘটনায় চারদিনও মামলা না হওয়া সম্পর্কে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা চান্দিনা থানা ও দাউদকান্দি সার্কেলের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য জানতে চাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। সংবাদ কর্মীদের এমন তৎপরায় রাতেই নিহতের মাকে সালমা বেগমকে ডেকে এনে মামলা নেয় চান্দিনা থানা পুলিশ। ওই মামলায় আহাদ ও জান্নাতুল ফেরদৌসীকে আসামী করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১০টা ১০মিনিটে মামলাটি গ্রহণ করে বলে নিশ্চিত করেন চান্দিনা থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত আসামী প্রেমিক আহাদ ওরফে রায়হান সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার পূর্ব গৌরীশঙ্কর গ্রামের মো. কাশেম মিয়ার ছেলে এবং প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূরমানিকচর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার মেয়ে। তারা উভয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনা ও বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী কোরপাই এলাকার সাদাদ জুট মিলের শ্রমিক।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান- ঘটনার পরপরই আমরা নিহতের পরিবারকে মামলা দিতে বলি। কিন্তু নিহতের পরিবার মামলা না দিয়ে উপরন্তু মামলা করবে না বলে লিখিত দেন। পরবর্তীতে শুক্রবার রাতে নিহতের মাকে আমরা ডেকে এনে মামলা গ্রহণ করি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাতে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের শিহাব নামের এক ব্যক্তির বাসার ছাদ থেকে ওই বাসার দারোয়ান সোহেলকে ফেলে দেয় প্রেমিক যুগল। ১৮ আগস্ট রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল এর মৃত্যু হয়।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























