
মার্কিন পক্ষ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উন্নয়নের ধারার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে, তদারকি সুবিন্যস্ত করতে পারবে, আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সের উন্নয়নের জন্য একটি ন্যায্য ও অনুমানযোগ্য নীতিগত পরিবেশ তৈরি করতে পারবে এবং স্থানীয় ভোক্তাদের আরও সুবিধাজনক, উচ্চমানের এবং কম দামের ভোগ পরিবেশ প্রদান করতে পারবে বলে চীন আশা করে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হ্য ইয়োং গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং হংকং থেকে আসা প্যাকেজ গ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে এবং কয়েক ঘন্টা পরে প্যাকেজ গ্রহণ পুনরায় শুরু করেছে। এই বিষয়ে চীনের প্রতিক্রিয়া কী? সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এ প্রশ্নের জবাবে, হ্য ইয়োং বলেন, কোনও দেশ তার বাণিজ্য নীতি যেভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ করুক না কেন, আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সের সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিজেই অদৃশ্য হয়ে যায়নি এবং এর এখনও দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বিতার শক্তি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটাল বিকাশের সাধারণ প্রবণতা পরিবর্তন হবে না।
মুখপাত্র আরও বলেন, আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্স সরাসরি ভোক্তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করে। এটি দ্রুত পণ্য সরবরাহ করে এবং খরচ সাশ্রয় করে। এর অনন্য সুবিধা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিকাশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দেশটির রপ্তানি করা চীনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং ছোট কর ছাড় নীতি রদবদল করেছে, যা নিঃসন্দেহে মার্কিন ভোক্তাদের খরচ বাড়াবে এবং কেনাকাটার পরিমাণ কমাবে।
সূত্র: রুবি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।