ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন Logo সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ করে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া জসিম উদ্দিনকে সংবর্ধনা Logo মুরাদনগরে খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo বুড়িচং বাকশীমূল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা Logo সিলেট জেলা যুবদলের নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবি Logo বরুড়ার দলুয়া তুলাগাও দাখিল মাদ্রাসার ৫৪ তম বার্ষিক বড় খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফুলবাড়ীতে কানাহার ডাঙ্গা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অধ্যয়নের যোগ্য

কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী আকিলবেক জাপারভ সম্প্রতি চায়না মিডিয়া (সিএমজি)-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শিক্ষণীয়।

তিনি বলেন, চীন শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে এবং কিরগিজস্তান-চীন সম্পর্ক সর্বদা ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতার উচ্চ স্তরে থাকবে এবং দু’দেশ শান্তি ও সুখের পথে চলতে একে অপরকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকারে জাপারভ বলেন, চীন ও কিরগিজস্তান নতুন যুগে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের নতুন পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চীন কিরগিজস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আমদানির বৃহত্তম উৎস দেশ। সেই সাথে চীন কিরগিজস্তানের বিনিয়োগের বৃহত্তম দেশও বটে।

দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্বন্ধে
জাপারভ বলেন, চীনের সাথে তাঁর দেশের এক হাজার কিলোমিটারের বেশি অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে এবং কিরগিজস্তানে দুটি স্থল সীমান্তবন্দর রয়েছে। গত বছর, চীনের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই দুটি সীমান্তবন্দরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। চলতি বছর, কিরগিজস্তানে তৃতীয় সীমান্তবন্দর খোলা হবে, যা কিরগিজস্তান ও চীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এখন তাঁর দেশ এই বন্দরের নির্মাণকাজ শুরু করতে চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে।

জাপারভ বলেন, তাঁর দেশে, স্বাধীন হওয়ার ৩০ বছর পরও, কোনো নতুন রেলপথ নির্মিত হয়নি। বর্তমানে চীন-কিরগিজস্তান -উজবেকিস্তান রেলপথ তাঁর দেশের উন্নয়নে বিরাট সুযোগ দিয়েছে। গত ৬ জুন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরগোজোভিচ জাপারভ, ও উজবেগিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মির্জিয়েভের উপস্থিতিতে, তিন দেশ এই রেলপথসংশ্লিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি শাংহাই থেকে প্যারিসের সংক্ষিপ্ততম রুট। এটি মধ্য-এশিয়াকে বাণিজ্য ও লজিস্টিক্সের কেন্দ্রে পরিণত করবে।

তিনি বলেন,কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য, আন্তঃদেশীয় রেলপথ নির্মাণ নিঃসন্দেহে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশাল ঘটনা।

সাক্ষাৎকারে জাপারভ চীনের আধুনিকায়নের পথ নিয়ে বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র পণ্ডিত, সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অধ্যয়নের যোগ্য। চীনের উন্নয়ন-মডেল কিরগিজস্তানের জন্য উপযুক্ত। চীন ও অন্যান্য দেশের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতা থেকে কিরগিজস্তান শিখতে পারে।
সূত্র: শুয়েই-আলিম-আকাশ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

SBN

SBN

চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অধ্যয়নের যোগ্য

আপডেট সময় ০৯:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী আকিলবেক জাপারভ সম্প্রতি চায়না মিডিয়া (সিএমজি)-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শিক্ষণীয়।

তিনি বলেন, চীন শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে এবং কিরগিজস্তান-চীন সম্পর্ক সর্বদা ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতার উচ্চ স্তরে থাকবে এবং দু’দেশ শান্তি ও সুখের পথে চলতে একে অপরকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকারে জাপারভ বলেন, চীন ও কিরগিজস্তান নতুন যুগে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের নতুন পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চীন কিরগিজস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আমদানির বৃহত্তম উৎস দেশ। সেই সাথে চীন কিরগিজস্তানের বিনিয়োগের বৃহত্তম দেশও বটে।

দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্বন্ধে
জাপারভ বলেন, চীনের সাথে তাঁর দেশের এক হাজার কিলোমিটারের বেশি অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে এবং কিরগিজস্তানে দুটি স্থল সীমান্তবন্দর রয়েছে। গত বছর, চীনের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই দুটি সীমান্তবন্দরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। চলতি বছর, কিরগিজস্তানে তৃতীয় সীমান্তবন্দর খোলা হবে, যা কিরগিজস্তান ও চীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এখন তাঁর দেশ এই বন্দরের নির্মাণকাজ শুরু করতে চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে।

জাপারভ বলেন, তাঁর দেশে, স্বাধীন হওয়ার ৩০ বছর পরও, কোনো নতুন রেলপথ নির্মিত হয়নি। বর্তমানে চীন-কিরগিজস্তান -উজবেকিস্তান রেলপথ তাঁর দেশের উন্নয়নে বিরাট সুযোগ দিয়েছে। গত ৬ জুন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরগোজোভিচ জাপারভ, ও উজবেগিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মির্জিয়েভের উপস্থিতিতে, তিন দেশ এই রেলপথসংশ্লিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি শাংহাই থেকে প্যারিসের সংক্ষিপ্ততম রুট। এটি মধ্য-এশিয়াকে বাণিজ্য ও লজিস্টিক্সের কেন্দ্রে পরিণত করবে।

তিনি বলেন,কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য, আন্তঃদেশীয় রেলপথ নির্মাণ নিঃসন্দেহে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশাল ঘটনা।

সাক্ষাৎকারে জাপারভ চীনের আধুনিকায়নের পথ নিয়ে বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র পণ্ডিত, সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অধ্যয়নের যোগ্য। চীনের উন্নয়ন-মডেল কিরগিজস্তানের জন্য উপযুক্ত। চীন ও অন্যান্য দেশের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতা থেকে কিরগিজস্তান শিখতে পারে।
সূত্র: শুয়েই-আলিম-আকাশ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।