
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে, অর্থনীতিতে চীনের আরও সক্রিয় এবং স্থিতিশীল নীতিগত সমন্বয় তার নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কার্যকর চাহিদা সরবরাহ করবে।
ইউএস-চায়না কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন মিলার-হোয়াইট ১০ থেকে ১১ অক্টোবর বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসম্মেলন সম্পর্কে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন।
চীনে এই বার্ষিক অর্থনৈতিক সম্মেলন কেন বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে? চীনের উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে, পরের বছরটি ১৫তম পঞ্চদশ পাঁচশালা পরিকল্পনার সূচনা বর্ষ। চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনা শেষ হতে চলেছে এবং পঞ্চদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা শুরু হতে চলেছে, এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃষ্টিকোণ থেকে, বর্তমানে, বাণিজ্য সুরক্ষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত ঘন ঘন ঘটছে এবং বিশ্বের জরুরিভাবে প্রবৃদ্ধির গতি প্রয়োজন। চীন দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ‘স্থিতিশীলকারী’ হিসেবে কাজ করে আসছে। বিশেষ করে এই বছর, চীনের অর্থনীতি চাপ সহ্য করেছে এবং এর অর্থনীতির মোট পরিমাণ প্রায় ১৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা শক্তিশালী স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে।
সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। আগামী বছরের জন্য চীনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে বিশ্ব আস্থা এবং সুযোগ অর্জনের প্রত্যাশা করছে।
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন সত্ত্বেও, চীন সর্বদা তার উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণে অটুট রয়েছে। পরের বছর, চীন ধারাবাহিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণকে এগিয়ে নেবে, পরিষেবা খাতের স্বায়ত্তশাসিত উন্মুক্তকরণকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রসারিত করবে, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের বিন্যাস ও পরিধি অনুকূল করবে এবং হাইনান মুক্ত-বাণিজ্য বন্দর নির্মাণকে দৃঢ়ভাবে প্রচার করবে, যা বিশ্বের জন্য ‘উন্মুক্ত সুযোগ’ তৈরি করতে থাকবে এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন করবে।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 























