১১ই ফেব্রুয়ারি ভিয়েনায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রথমবারের মতো চীনা চান্দ্র পঞ্জিকার বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। এদিকে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আবারও বসন্ত উৎসবের গালা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ল্যান্ডমার্কে ‘চীনা লাল রঙ দিয়ে’ সেজেছে। বসন্ত উৎসবকে জাতিসংঘের ছুটি হিসেবে নির্ধারণ করার পর থেকে বিশ্বজুড়ে চীনা বসন্ত উৎসবের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে। চীন থেকে এ উৎসব বিশ্বের বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ বসন্ত উৎসব বিশ্ববাসীর জন্য চীন ও চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বসন্ত উৎসব চীনের সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উইসব। একে জাতিসংঘ ছুটি হিসেবে পালন করছে; যার মানে এদিন কোনো অধিবেশন আয়োজন করা হবে না। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরসহ ২০টিও বেশি দেশ ও অঞ্চল বসন্ত উৎসবকে সরকারি উৎসব হিসেবে নির্ধারণ করে। এবারে এ উৎসব জাতিসংঘের স্বীকৃতিও পেয়েছে। ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলনের চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস মনে করেন, এটি জাতিসংঘের কাঠামো এবং বহুপক্ষবাদে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বহিঃপ্রকাশ।
এই ঐতিহ্যবাহী চীনা উৎসব বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক সম্মিলনে পরিণত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীনা সংস্কৃতিতে ‘সম্প্রীতি সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস, সম্প্রীতিতে পার্থক্যের সহাবস্থানের মূল্যবোধ এবং একসঙ্গে সৌন্দর্য লাভ করার সাংস্কৃতিক চেতনায় সম্মতিতে পৌঁছেছে বিশ্ববাসী। বসন্ত উৎসব শান্তি, সহাবস্থান ও সম্প্রীতির প্রতীক। বিভিন্ন ধরণের উৎসবমুখর অভিযানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীরা চীনকে জানতে ও বুঝতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা জানতে পেরেছে যে, চীনা সংস্কৃতি খুব উন্মুক্ত, সহনশীল ও সৃজনশীল।
চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিতে ড্রাগন মেধা ও শক্তির প্রতীক। এ বসন্ত উৎসব উদযাপনের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গাহাঙ্গামা চলছে। তাই এসব সমস্যা সমাধানে মেধা ও সাহস প্রয়োজন। উন্মুক্ত ও সহনশীল চীন আধুনিকায়ন বেগবান এবং বিভিন্ন দেশের অভিন্ন নিরাপত্তা ও যৌথ উন্নয়নে শক্তি যুগিয়েছে। এ কারণে চলতি বসন্ত উৎসবে বিশ্ব সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। ড্রাগন বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চীন ও চীনা জনগণকে জাতিসংঘ, বহুপক্ষবাদ ও বৈশ্বিক অগ্রগতি অর্জনে দেওয়া সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।