২৭ শে ফেব্রুয়ারি সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, এ বছরের বসন্ত উৎসবের সময় চীনা মানুষের ভ্রমণের সংখ্যা ছিল ৪৭৪ মিলিয়ন পার্সনটাইম, ভ্রমণের মোট খরচ ছিল ৬৩২.৬৮৭ বিলিয়ন ইউয়ান। যা গত বছরের বসন্ত উৎসবের চেয়ে ৩৪.৩ ও ৪৭.৩ শতাংশ বেশি।
চীনের সীমান্ত পরিদর্শন সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যানে বলা হয়, চীনা ও বিদেশি মানুষ প্রবেশ ও প্রস্থানের সংখ্যা ছিল ১.৩৫১৭ কোটি পার্সনটাইমস। গড়ে প্রতিদিন ১৬.৯ লাখ পার্সনটাইমস। যা গত বছরের বসন্ত উৎসব তুলনায় ২.৮ গুণ। আট দিনের ছুটিতে সিনেমা বক্স অফিসের আয় ছিল ৮ বিলিয়ন ইউয়ান। এটি বসন্ত উৎসবের সময় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
এ বছরের বসন্ত উৎসব হলো চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর প্রথম স্বাভাবিক বসন্ত উৎসব। গত বছরের শেষ দিকে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কাজকর্ম সম্মেলনে বলা হয়, মহামারীর পর অর্থনীতির পুনরুদ্ধার থেকে ব্যাপক বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালকে ‘ভোগ বৃদ্ধির বছর’ হিসাবে মনোনীত করা হয়। এ বছরে চীন বিভিন্ন ভোগ জোরদার কার্যকলাপ আয়োজন করবে। বিভিন্ন ব্যবস্থায় চীনের ভোগের সুপ্তশক্তি বাড়ছে এবং ভোগের মান বাড়ছে।
এই বছরের বসন্ত উৎসবটি জাতিসংঘের সরকারি ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম বসন্ত উৎসব। সারা বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে চীনের বসন্ত উৎসব উদযাপন করেন। পারস্পরিক ভিসা ছাড়, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সুবিধা এবং রুট পুনরায় চালু হওয়ার ব্যবস্থায় চীনা মানুষের বিদেশ ভ্রমণের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
বসন্ত উৎসবের সময় সিঙ্গাপুরে বিমান টিকিটের অর্ডার বছরে ২৯ গুণ বেড়েছে, কুয়ালালামপুরের ২০ গুণ এবং ব্যাংককে ১৬ গুণ বেড়েছে। এ বছরের বসন্ত উৎসবের ছুটিতে চীনা পর্যটকরা বিশ্বের ১৭০০টিরও বেশি শহরে ভ্রমণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত জানুয়ারির শেষ দিকে ২০২৪ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ০.৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪.৬ শতাংশ করেছে। বর্তমানে চীনা অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও স্থায়ী উন্নয়নের ধারা পরিবর্তন হয় নি।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।