ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফ্রান্স জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খালেদ আহমদ জায়িমকে সংবর্ধনা Logo সাজেকে বৈসু উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সেনাবাহিনীর সম্প্রীতির বার্তা Logo বাঘাইছড়িতে প্রথমবারের মতো পেয়াজ চাষে কৃষকের সাফল্য Logo কুমিল্লায় জামায়াত ইসলামের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত Logo কালীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কুপিয়ে জখম : অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি Logo লাকসামে অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর আচার তৈরিকারখানা সিলগালা Logo মোংলায় পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর দেওয়া আগুনে পুড়লো ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন Logo কলম সেনা Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo লালমনিরহাটের পাটগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব

চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে

  • শুয়েই ফেই ফেই:
  • আপডেট সময় ১০:১৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

২৭ ও ২৮ অগাস্ট চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, সিপিসি’র বিদেশ বিষয়ক কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়াং ই বেইজিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে ‘নতুন দফা কৌশলগত বিনিময়’ আয়োজন করেছেন। দু’পক্ষ এতে আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছে।

ওয়াং ই বলেন, প্রথমত, চীন-মার্কিন সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা বজায় রাখার চাবিকাঠি হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দিকনির্দেশনা। উভয় পক্ষের উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতার নীতিগুলো সমুন্নত রাখা, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ঐকমত্য বাস্তবায়ন করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই উন্নয়ন প্রচার করা।

দ্বিতীয়ত, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত এড়াতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল চাবিকাঠি হল তিনটি যৌথ ঘোষণা মেনে চলা। পাশাপাশি, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের রাজনৈতিক ভিত্তি রক্ষা করতে হবে, চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে, চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও উন্নয়নের পথকে সম্মান করতে হবে এবং চীনা জনগণের বৈধ উন্নয়নের অধিকারকেও সম্মান দেখাতে হবে।

তৃতীয়ত, চীন-মার্কিন মিথস্ক্রিয়া মসৃণভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একে অপরের সাথে সমান আচরণ করা মৌলিক বিষয়।
চতুর্থত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক বজায় রাখার কেন্দ্রীয় বিষয় হলো, জনমতের ভিত্তি সুসংহত করা। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে আরও বেশি যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করা উচিত এবং ব্যক্তি বিনিময়ের রাস্তা আরও প্রশস্ত করা উচিত।

পঞ্চমত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অর্জনের জন্য একটি সঠিক বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠা করা উচিত। চীন অভ্যন্তরীণভাবে চীনা জনগণকে উন্নত জীবন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বাহ্যিকভাবে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেন যে, তাইওয়ান চীনের অংশ এবং চীন অবশ্যই একত্রিত হবে। তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘স্বাধীন তাইওয়ান-প্রয়াস’ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করার’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা, এক-চীন নীতি এবং চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ঘোষণা মেনে চলা, তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করা এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনে সমর্থন করা।

 

সালিভান বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে পার্থক্য ও প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং এমন অনেক ক্ষেত্রেও সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তিনি সম্মত হন যে, পরস্পরের সমতা বিবেচনা করা উচিত এবং প্রতিযোগিতা স্বাস্থ্যকর ও ন্যায্য হওয়া উচিত। চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোনো ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। যুক্তরাষ্ট্র এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা, ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন, এক তাইওয়ানকে’ সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত লক্ষ্য হল মার্কিন-চীন সম্পর্কের টেকসই উন্নয়নের উপায় খুঁজে বের করা। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো এবং ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা কমাতে চায়।
সূত্র: শুয়েই ফেই ফেই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

ফ্রান্স জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খালেদ আহমদ জায়িমকে সংবর্ধনা

SBN

SBN

চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে

আপডেট সময় ১০:১৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

২৭ ও ২৮ অগাস্ট চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, সিপিসি’র বিদেশ বিষয়ক কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়াং ই বেইজিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে ‘নতুন দফা কৌশলগত বিনিময়’ আয়োজন করেছেন। দু’পক্ষ এতে আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছে।

ওয়াং ই বলেন, প্রথমত, চীন-মার্কিন সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা বজায় রাখার চাবিকাঠি হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দিকনির্দেশনা। উভয় পক্ষের উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতার নীতিগুলো সমুন্নত রাখা, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ঐকমত্য বাস্তবায়ন করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই উন্নয়ন প্রচার করা।

দ্বিতীয়ত, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত এড়াতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল চাবিকাঠি হল তিনটি যৌথ ঘোষণা মেনে চলা। পাশাপাশি, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের রাজনৈতিক ভিত্তি রক্ষা করতে হবে, চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে, চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও উন্নয়নের পথকে সম্মান করতে হবে এবং চীনা জনগণের বৈধ উন্নয়নের অধিকারকেও সম্মান দেখাতে হবে।

তৃতীয়ত, চীন-মার্কিন মিথস্ক্রিয়া মসৃণভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একে অপরের সাথে সমান আচরণ করা মৌলিক বিষয়।
চতুর্থত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক বজায় রাখার কেন্দ্রীয় বিষয় হলো, জনমতের ভিত্তি সুসংহত করা। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে আরও বেশি যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করা উচিত এবং ব্যক্তি বিনিময়ের রাস্তা আরও প্রশস্ত করা উচিত।

পঞ্চমত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অর্জনের জন্য একটি সঠিক বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠা করা উচিত। চীন অভ্যন্তরীণভাবে চীনা জনগণকে উন্নত জীবন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বাহ্যিকভাবে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেন যে, তাইওয়ান চীনের অংশ এবং চীন অবশ্যই একত্রিত হবে। তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘স্বাধীন তাইওয়ান-প্রয়াস’ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করার’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা, এক-চীন নীতি এবং চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ঘোষণা মেনে চলা, তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করা এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনে সমর্থন করা।

 

সালিভান বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে পার্থক্য ও প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং এমন অনেক ক্ষেত্রেও সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তিনি সম্মত হন যে, পরস্পরের সমতা বিবেচনা করা উচিত এবং প্রতিযোগিতা স্বাস্থ্যকর ও ন্যায্য হওয়া উচিত। চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোনো ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। যুক্তরাষ্ট্র এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা, ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন, এক তাইওয়ানকে’ সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত লক্ষ্য হল মার্কিন-চীন সম্পর্কের টেকসই উন্নয়নের উপায় খুঁজে বের করা। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো এবং ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা কমাতে চায়।
সূত্র: শুয়েই ফেই ফেই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।