ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo মাঠের রাস্তায় জামাই শাশুড়ির বাঁশের বেড়া: বিপাকে দুই গ্রামের কৃষক Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার

‘চীনের হুমকি’ অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে:সিএমজি সম্পাদকীয়

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন নেতা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন বিল’ আইনে রূপান্তর করতে স্বাক্ষর করেছেন। ৮৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই সামরিক ব্যয় একটি নতুন ঐতিহাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এবং এটি সামরিক ব্যয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের বিশাল ক্ষুধার বহিঃপ্রকাশ। সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ‘যৌক্তিকতা’ দেখাতে বিলে কয়েক ডজন বার চীনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় তথাকথিত ‘চীনের হুমকি’ অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। বিশেষত, তাইওয়ানকে সামরিক সমর্থনের ইস্যুতে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা হয়েছে বিলে। ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ দাবিদারদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত ভুল বার্তা।

এই অভ্যন্তরীণ আইনে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক অনুশীলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ করা, তাইওয়ানের ‘নিরাপত্তা’ বাড়াতে বহুপক্ষীয় বিশেষ করে ইউরোপীয় সহযোগিতা জোরদার করা, তাইওয়ানের তথা আত্মরক্ষার ক্ষমতা বাড়াতে সে অঞ্চলকে পুঁজি প্রদান করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে বিলে। যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণে তাইওয়ান প্রণালীতে বৈরিতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং তাইওয়ানকে যুদ্ধের বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

বর্তমানে মার্কিন সরকার একটি ক্রান্তিকালে প্রবেশ করেছে। লক্ষ্য করার বিষয়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ‘অস্ত্র’ সরবরাহের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে? চায়নিজ একাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের তাইওয়ান ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক লিউ কুয়াং ইউ সিএমজি-কে বলেন, তাইওয়ানের কাছে মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র বিক্রির দ্বৈত বিবেচনা রয়েছে। একদিকে এটি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ও অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য মার্কিন সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের চাপের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে; অন্যদিকে, এটি চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলায় পরবর্তী সরকারের জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে ও সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের আচরণ তাইওয়ানের জনগণের রক্ত ​​ঝরাবে কি না বা তাদেরকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে কি না, মার্কিন সরকার তা মোটেও বিবেচনায় নিচ্ছে না।

আরও ২০ দিনেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন সরকার গঠিত হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার আশা করে, তাহলে তার উচিত তাইওয়ান ইস্যুটি সতর্কতার সাথে মোকাবিলা করা; চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইশতেহার মেনে চলা; চীনের প্রতি তার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করা; স্পষ্টভাবে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করা; এবং চীনের শান্তিপূর্ণ একীকরণকে সমর্থন করা।

মনে রাখতে হবে, তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান। তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের সম্পর্ক নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করেন তাঁরা প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন যে, তথাকথিত মার্কিন অস্ত্র দুই তীরের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারবে না, চীনের চূড়ান্ত পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক প্রবণতাকেও বাধা দিতে পারবে না।

সূত্র: লিলি-আলিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

‘চীনের হুমকি’ অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে:সিএমজি সম্পাদকীয়

আপডেট সময় ১১:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মার্কিন নেতা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন বিল’ আইনে রূপান্তর করতে স্বাক্ষর করেছেন। ৮৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই সামরিক ব্যয় একটি নতুন ঐতিহাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এবং এটি সামরিক ব্যয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের বিশাল ক্ষুধার বহিঃপ্রকাশ। সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ‘যৌক্তিকতা’ দেখাতে বিলে কয়েক ডজন বার চীনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় তথাকথিত ‘চীনের হুমকি’ অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। বিশেষত, তাইওয়ানকে সামরিক সমর্থনের ইস্যুতে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা হয়েছে বিলে। ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ দাবিদারদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত ভুল বার্তা।

এই অভ্যন্তরীণ আইনে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক অনুশীলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ করা, তাইওয়ানের ‘নিরাপত্তা’ বাড়াতে বহুপক্ষীয় বিশেষ করে ইউরোপীয় সহযোগিতা জোরদার করা, তাইওয়ানের তথা আত্মরক্ষার ক্ষমতা বাড়াতে সে অঞ্চলকে পুঁজি প্রদান করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে বিলে। যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণে তাইওয়ান প্রণালীতে বৈরিতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং তাইওয়ানকে যুদ্ধের বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

বর্তমানে মার্কিন সরকার একটি ক্রান্তিকালে প্রবেশ করেছে। লক্ষ্য করার বিষয়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ‘অস্ত্র’ সরবরাহের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে? চায়নিজ একাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের তাইওয়ান ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক লিউ কুয়াং ইউ সিএমজি-কে বলেন, তাইওয়ানের কাছে মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র বিক্রির দ্বৈত বিবেচনা রয়েছে। একদিকে এটি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ও অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য মার্কিন সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের চাপের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে; অন্যদিকে, এটি চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলায় পরবর্তী সরকারের জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে ও সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের আচরণ তাইওয়ানের জনগণের রক্ত ​​ঝরাবে কি না বা তাদেরকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে কি না, মার্কিন সরকার তা মোটেও বিবেচনায় নিচ্ছে না।

আরও ২০ দিনেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন সরকার গঠিত হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার আশা করে, তাহলে তার উচিত তাইওয়ান ইস্যুটি সতর্কতার সাথে মোকাবিলা করা; চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইশতেহার মেনে চলা; চীনের প্রতি তার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করা; স্পষ্টভাবে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করা; এবং চীনের শান্তিপূর্ণ একীকরণকে সমর্থন করা।

মনে রাখতে হবে, তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান। তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের সম্পর্ক নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করেন তাঁরা প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন যে, তথাকথিত মার্কিন অস্ত্র দুই তীরের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারবে না, চীনের চূড়ান্ত পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক প্রবণতাকেও বাধা দিতে পারবে না।

সূত্র: লিলি-আলিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।