ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীন-উত্তর কোরিয়া বন্ধুত্বের বার্তা

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে বেইজিংয়ের গণমহাভবনে, কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রীয় কমিশনের চেয়ারম্যান কিম জং-উনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চীন ও উত্তর কোরিয়ার ভাগ্য অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত এবং দু’দেশ একে অপরের ভালো প্রতিবেশী, বন্ধু ও কমরেড। দু’দেশের মৈত্রী সুদীর্ঘকালের এবং দু’দেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক দেশ; দু’দেশের অভিন্ন প্রত্যশা ও উন্নয়নের লক্ষ্য আছে।

কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিমকে অভিনন্দন জানিয়ে সি জোর দিয়ে বলেন, যখন চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন ও জাতীয় পুনরুত্থানের চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ চলছে, তখন উত্তর কোরিয়ার সমাজতান্ত্রিক নির্মাণেও অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। চীন উত্তর কোরিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষা ও উন্নয়নে আন্তরিক। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীনের এই অবস্থান পরিবর্তন হবে না। নিজের দেশের আসল অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলতে উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাবে চীন। পিয়ংইয়ংয়ের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় ও কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করতে, পার্টি ও দেশ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে, সমঝোতা ও মৈত্রী গভীরতর করতে, নানা পর্যায়ের আদানপ্রদান ও নানা ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতা প্রসারিত করতেও ইচ্ছুক বেইজিং।

সি চিন পিং আরও বলেন, “বর্তমানে অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে পৃথিবী। আমি পর্যায়ক্রমে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন, বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রস্তাব, বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাব, বৈশ্বিক সভ্যতা প্রস্তাব, ও বৈশ্বিক প্রশাসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছি এবং উত্তর কোরিয়া এসব প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। চীন ও উত্তর কোরিয়ার উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কৌশলগত সমন্বয় জোরদার করা, অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা। কোরীয় উপদ্বীপ ইস্যুতে চীন সবসময় ন্যায্যতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সাথে সমন্বয় জোরদার করে, উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে ইচ্ছুক চীন।”
উল্লেখ্য, জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ ও বিশ্বের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চীন সফরে আসেন কিম জং-উন।

সূত্র:শিশির-আলিম-মুক্তা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চীন-উত্তর কোরিয়া বন্ধুত্বের বার্তা

আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে বেইজিংয়ের গণমহাভবনে, কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রীয় কমিশনের চেয়ারম্যান কিম জং-উনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চীন ও উত্তর কোরিয়ার ভাগ্য অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত এবং দু’দেশ একে অপরের ভালো প্রতিবেশী, বন্ধু ও কমরেড। দু’দেশের মৈত্রী সুদীর্ঘকালের এবং দু’দেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক দেশ; দু’দেশের অভিন্ন প্রত্যশা ও উন্নয়নের লক্ষ্য আছে।

কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিমকে অভিনন্দন জানিয়ে সি জোর দিয়ে বলেন, যখন চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন ও জাতীয় পুনরুত্থানের চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ চলছে, তখন উত্তর কোরিয়ার সমাজতান্ত্রিক নির্মাণেও অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। চীন উত্তর কোরিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষা ও উন্নয়নে আন্তরিক। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীনের এই অবস্থান পরিবর্তন হবে না। নিজের দেশের আসল অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলতে উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাবে চীন। পিয়ংইয়ংয়ের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় ও কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করতে, পার্টি ও দেশ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে, সমঝোতা ও মৈত্রী গভীরতর করতে, নানা পর্যায়ের আদানপ্রদান ও নানা ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতা প্রসারিত করতেও ইচ্ছুক বেইজিং।

সি চিন পিং আরও বলেন, “বর্তমানে অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে পৃথিবী। আমি পর্যায়ক্রমে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন, বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রস্তাব, বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাব, বৈশ্বিক সভ্যতা প্রস্তাব, ও বৈশ্বিক প্রশাসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছি এবং উত্তর কোরিয়া এসব প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। চীন ও উত্তর কোরিয়ার উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কৌশলগত সমন্বয় জোরদার করা, অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা। কোরীয় উপদ্বীপ ইস্যুতে চীন সবসময় ন্যায্যতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সাথে সমন্বয় জোরদার করে, উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে ইচ্ছুক চীন।”
উল্লেখ্য, জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ ও বিশ্বের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চীন সফরে আসেন কিম জং-উন।

সূত্র:শিশির-আলিম-মুক্তা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।