ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

চীন-কাজাখস্তানের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী সুসংবদ্ধ করবে : সি চিন পিং

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাথে গত সোমবার বিকেলে আস্তানায় বৈঠক করেছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ।

বৈঠককালে সি বলেন, চীন ও কাজাখস্তানের সম্পর্ক বিভিন্ন পরীক্ষার পাস করেছে এবং বরাবরই ঘনিষ্ঠভাবে চলছে। এটি পাহাড় ও নদীর সাথে সংযুক্ত থাকার ভৌগোলিক সুবিধা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার ও দু’দেশের অভিন্ন উন্নয়নের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের যৌথ প্রয়াসে দ্বিপাক্ষিক অভিন্ন কল্যাণের সমাজ আরো সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বাস্তব ও জনগণের গণজীবিকার জন্য সহায়ক সাফল্য ব্যাপকভাবে দেখা গেছে।

চীন বরাবরই কৌশলগত ও দীর্ঘকালীন দিক থেকে কাজাখস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে আসছে। আগামীতেও দৃঢ়ভাবে দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী সুসংবদ্ধ করবে এবং এ সম্পর্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখবে।
সি জোর দিয়ে বলেন যে, চীন ও কাজাখস্তান নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব পার করছে, তাই যৌথভাবে সার্বিক সহযোগিতা বাস্তবায়ন করা জরুরি। দু’দেশের উচিৎ, উচ্চমানে কৌশলগত ও পারস্পরিক আস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করা, পরস্পরের সাথে জড়িত কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও উদ্বেগের ইস্যুতে সমর্থন দেওয়া, জটিল আন্তর্জাতিক অবস্থায় পরস্পরকে সহায়তা দেওয়া এবং পারস্পরিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা। গুণগতমানে ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণে দু’পক্ষের সহযোগিতার মান উন্নীত করা, বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পদসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তদেশীয় রেলপথ প্রকল্প ও বন্দর ব্যবস্থাপনার রূপান্তর উন্নত করা, হাইটেক প্রযুক্তির সহযোগিতা আর সবুজ টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা, আইন প্রণয়নকারী ও প্রতিরক্ষার বিনিময় উন্নত করা, যৌথভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জরুরি প্রশাসন গভীরতর করা। তাছাড়া বহুমুখী সাংস্কৃতিক বিনিময় উন্নত করা, কাজাখস্তানে ‘চীনা পর্যটন বর্ষ’ অনুষ্ঠানের আয়োজনে যুবক, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে আদান-প্রদান জোরদার করা হবে।

সি জোর দিয়ে বলেন যে, জটিল ও পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন ও কাজাখস্তানের উচিত দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন সংরক্ষণ করা, বাস্তবভাবে বহুপক্ষবাদ অনুশীলন করা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা। দ্বিতীয় চীন ও মধ্য এশিয়ার শীর্ষ-সম্মেলনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কাজাখস্তান, তা চীন ও মধ্য এশিয়ার সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ন উন্মোচন করবে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পালাক্রমিক চেয়ারম্যান হিসেবে চীনও বিভিন্ন সদস্যদেশের সাথে এ সংস্থার নতুন উন্নয়ন ও ভুমিকা পালনে প্রচেষ্টা চালাবে।

তোকায়েভ বলেছেন, চীন কাজাখস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আস্থাশীল অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সার্বিক কৌশলগত অশীদারিত্বের সম্পর্কের নতুন স্বর্ণ যুগে প্রবশ করছে, তা দু’দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে পরস্পরকে সমর্থন দেয় দু’দেশ। প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কাজাখস্তান চীনের সাথে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক। দু’দেশ যৌথভাবে গুণগতমানে ‘বেল্ড এ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণ করবে, বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, শিল্প, কৃষি, জ্বালানি সম্পদ ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে, সংস্কৃতি, শিক্ষা, ক্রীড়া ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের বিনিময় জোরদার করবে। চীনের সাথে জাতিসংঘ, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ব্রিকস, চীন-মধ্য এশিয়া ব্যবস্থাসহ বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে, যাতে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা আরো ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্তি দিকে এগিয়ে নেয়া যায়।

সূত্র : সুবর্ণা-হাশিম-রুবি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বুড়িচংয়ে ৫০ বছরের চাকুরী শেষে ইমামের রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

SBN

SBN

চীন-কাজাখস্তানের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী সুসংবদ্ধ করবে : সি চিন পিং

আপডেট সময় ০৭:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাথে গত সোমবার বিকেলে আস্তানায় বৈঠক করেছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ।

বৈঠককালে সি বলেন, চীন ও কাজাখস্তানের সম্পর্ক বিভিন্ন পরীক্ষার পাস করেছে এবং বরাবরই ঘনিষ্ঠভাবে চলছে। এটি পাহাড় ও নদীর সাথে সংযুক্ত থাকার ভৌগোলিক সুবিধা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার ও দু’দেশের অভিন্ন উন্নয়নের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের যৌথ প্রয়াসে দ্বিপাক্ষিক অভিন্ন কল্যাণের সমাজ আরো সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বাস্তব ও জনগণের গণজীবিকার জন্য সহায়ক সাফল্য ব্যাপকভাবে দেখা গেছে।

চীন বরাবরই কৌশলগত ও দীর্ঘকালীন দিক থেকে কাজাখস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে আসছে। আগামীতেও দৃঢ়ভাবে দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী সুসংবদ্ধ করবে এবং এ সম্পর্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখবে।
সি জোর দিয়ে বলেন যে, চীন ও কাজাখস্তান নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব পার করছে, তাই যৌথভাবে সার্বিক সহযোগিতা বাস্তবায়ন করা জরুরি। দু’দেশের উচিৎ, উচ্চমানে কৌশলগত ও পারস্পরিক আস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করা, পরস্পরের সাথে জড়িত কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও উদ্বেগের ইস্যুতে সমর্থন দেওয়া, জটিল আন্তর্জাতিক অবস্থায় পরস্পরকে সহায়তা দেওয়া এবং পারস্পরিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা। গুণগতমানে ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণে দু’পক্ষের সহযোগিতার মান উন্নীত করা, বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পদসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তদেশীয় রেলপথ প্রকল্প ও বন্দর ব্যবস্থাপনার রূপান্তর উন্নত করা, হাইটেক প্রযুক্তির সহযোগিতা আর সবুজ টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা, আইন প্রণয়নকারী ও প্রতিরক্ষার বিনিময় উন্নত করা, যৌথভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জরুরি প্রশাসন গভীরতর করা। তাছাড়া বহুমুখী সাংস্কৃতিক বিনিময় উন্নত করা, কাজাখস্তানে ‘চীনা পর্যটন বর্ষ’ অনুষ্ঠানের আয়োজনে যুবক, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে আদান-প্রদান জোরদার করা হবে।

সি জোর দিয়ে বলেন যে, জটিল ও পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন ও কাজাখস্তানের উচিত দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন সংরক্ষণ করা, বাস্তবভাবে বহুপক্ষবাদ অনুশীলন করা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা। দ্বিতীয় চীন ও মধ্য এশিয়ার শীর্ষ-সম্মেলনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কাজাখস্তান, তা চীন ও মধ্য এশিয়ার সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ন উন্মোচন করবে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পালাক্রমিক চেয়ারম্যান হিসেবে চীনও বিভিন্ন সদস্যদেশের সাথে এ সংস্থার নতুন উন্নয়ন ও ভুমিকা পালনে প্রচেষ্টা চালাবে।

তোকায়েভ বলেছেন, চীন কাজাখস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আস্থাশীল অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সার্বিক কৌশলগত অশীদারিত্বের সম্পর্কের নতুন স্বর্ণ যুগে প্রবশ করছে, তা দু’দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে পরস্পরকে সমর্থন দেয় দু’দেশ। প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কাজাখস্তান চীনের সাথে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক। দু’দেশ যৌথভাবে গুণগতমানে ‘বেল্ড এ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণ করবে, বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, শিল্প, কৃষি, জ্বালানি সম্পদ ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে, সংস্কৃতি, শিক্ষা, ক্রীড়া ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের বিনিময় জোরদার করবে। চীনের সাথে জাতিসংঘ, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ব্রিকস, চীন-মধ্য এশিয়া ব্যবস্থাসহ বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে, যাতে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা আরো ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্তি দিকে এগিয়ে নেয়া যায়।

সূত্র : সুবর্ণা-হাশিম-রুবি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।