ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

চীন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা উন্নত করতে ইচ্ছুক : ওয়াং ই

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সিপিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনের উচ্চ-স্তরের সভায় ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে ভাষণ দেন।

ভাষণে ওয়াং ই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সভ্যতার ওপর উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন, যা বিশ্বের জন্য চীনা সমাধান। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন যে, মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা সমগ্র মানবজাতির একটি লক্ষ্য এবং এর জন্য সকলের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা মানবাধিকারের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে, সংস্কার প্রচার করতে, এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা উন্নত করতে সকল দেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, “প্রথমত, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মনে রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই জনকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলতে হবে, জনগণের জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, জনগণের ওপর নির্ভর করতে হবে, এবং উন্নয়নের ফল জনগণের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। আমাদের এমন কোনো কথা বা কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা মানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং জনগণের জীবনের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে হবে। জীবিকা নির্বাহ ও উন্নয়নের অধিকারকে প্রাথমিক মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার ভিত্তিতে, আমাদের ব্যক্তিগত অধিকার ও সামষ্টিক অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত, শিক্ষাগত ও অন্যান্য অধিকার প্রচারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা উচিত। মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিমুখী বা এমনকি একাধিক মান প্রয়োগ করে—এমন কোনো কথা বা কাজকে আমাদের দৃঢ়ভাবে না বলতে হবে।

তৃতীয়ত, আমাদের বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার ওপর অটল থাকতে হবে। আমাদের অবশ্যই সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করতে হবে, সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতা পরিচালনা করতে হবে এবং একটি ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের এমন কোনো কথা বা কাজকে দৃঢ়ভাবে না বলতে হবে, যা অন্যদের ওপর নিজস্ব মডেল ও পছন্দ-অপছন্দ চাপিয়ে দেয় এবং মানবাধিকারের রাজনীতিকরণ, হাতিয়ারকরণ ও অস্ত্র ব্যবহার করে।”

ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেন, চীন মানবজাতির ভবিষ্যত এবং সকল দেশের কল্যাণ বিবেচনা করবে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সহযোগিতায় আরও ইতিবাচক ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে, এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লক্ষ্যে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে সকল পক্ষের সাথে কাজ করবে।

সূত্র: স্বর্ণা-আলিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

সাজেকে বৈসু উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সেনাবাহিনীর সম্প্রীতির বার্তা

SBN

SBN

চীন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা উন্নত করতে ইচ্ছুক : ওয়াং ই

আপডেট সময় ১১:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সিপিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনের উচ্চ-স্তরের সভায় ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে ভাষণ দেন।

ভাষণে ওয়াং ই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সভ্যতার ওপর উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন, যা বিশ্বের জন্য চীনা সমাধান। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন যে, মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা সমগ্র মানবজাতির একটি লক্ষ্য এবং এর জন্য সকলের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা মানবাধিকারের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে, সংস্কার প্রচার করতে, এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা উন্নত করতে সকল দেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, “প্রথমত, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মনে রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই জনকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলতে হবে, জনগণের জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, জনগণের ওপর নির্ভর করতে হবে, এবং উন্নয়নের ফল জনগণের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। আমাদের এমন কোনো কথা বা কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা মানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং জনগণের জীবনের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে হবে। জীবিকা নির্বাহ ও উন্নয়নের অধিকারকে প্রাথমিক মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার ভিত্তিতে, আমাদের ব্যক্তিগত অধিকার ও সামষ্টিক অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত, শিক্ষাগত ও অন্যান্য অধিকার প্রচারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা উচিত। মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিমুখী বা এমনকি একাধিক মান প্রয়োগ করে—এমন কোনো কথা বা কাজকে আমাদের দৃঢ়ভাবে না বলতে হবে।

তৃতীয়ত, আমাদের বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার ওপর অটল থাকতে হবে। আমাদের অবশ্যই সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করতে হবে, সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতা পরিচালনা করতে হবে এবং একটি ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের এমন কোনো কথা বা কাজকে দৃঢ়ভাবে না বলতে হবে, যা অন্যদের ওপর নিজস্ব মডেল ও পছন্দ-অপছন্দ চাপিয়ে দেয় এবং মানবাধিকারের রাজনীতিকরণ, হাতিয়ারকরণ ও অস্ত্র ব্যবহার করে।”

ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেন, চীন মানবজাতির ভবিষ্যত এবং সকল দেশের কল্যাণ বিবেচনা করবে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সহযোগিতায় আরও ইতিবাচক ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে, এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লক্ষ্যে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে সকল পক্ষের সাথে কাজ করবে।

সূত্র: স্বর্ণা-আলিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।