সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন দাভোস ফোরাম চীনের তালিয়ান শহরে আয়োজন করা হয়। বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ১৭০০জনেরও বেশি প্রতিনিধি এবারের ফোরামে অংশগ্রহণ করেন। চীনা বাজার বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
বিশ্বের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে চীনসহ নতুন অর্থনৈতিক সত্তা বিশ্বের অর্থনৈতিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
চীন চারটি প্রস্তাব দিয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খাতে সহযোগিতা জোরদার করা, সবুজ উন্নয়ন বাড়ানো, উন্মুক্ত বাজারের পরিবেশ সুরক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রচার করা। যা একটি চীনা পরিকল্পনা।
চীনের বিরাট আকারের বাজার আছে। চীন অব্যাহতভাবে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের মান বৃদ্ধি করছে। চীনের শিল্পব্যবস্থা আছে এবং প্রতিভা ব্যক্তি ও উদ্ভাবনের সুবিধা আছে। ফোরামে বিভিন্ন প্রতিনিধি বলেন, চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিজের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে স্থায়ী চালিকাশক্তি যুক্ত করেছে।
ফোরামে প্রতিনিধিরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়োটেকনোলজি ও সবুজ জ্বালানি-সম্পদসহ বিভিন্ন নতুন শিল্প নিয়ে আলোচনা করেন। চীন নতুন মানের উৎপাদন শক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব এবং সবুজ উন্নয়নের সুযোগ ধরেছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ১৫৩টি ‘বাতিঘর কারখানার’ সর্বশেষ ব্যাচের মধ্যে ৬২টি চীনা কোম্পানি। এর মধ্যে যেমন ফটোভোলটাইকস ও নতুন শক্তির যানবাহনসহ হাই-টেক কোম্পানিগুলো রয়েছে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘বাতিঘর কারখানার’ দেশ।
চীনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে মাস পর্যন্ত চীনে ২১৭৬৪টি নতুন বিদেশি বিনিয়োগকারী উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বছরে ১৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের প্রত্যাশাও বাড়িয়েছে। এসবই চীনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রতি বৈশ্বিক আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।