
১৯ জুন, বৃহস্পতিবার, বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ফোনালাপে প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
পুতিন বলেন, ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালানো খুবই বিপজ্জনক। সংঘর্ষের অবনতি কোনো পক্ষের স্বার্থের জন্যই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইরানের পারমাণবিক সমস্যার সমাধান করতে হলে সংলাপ ও আলোচনার প্রয়োজন। রাশিয়া চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে আগ্রহী।
সি চিন পিং চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করে চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
প্রথমত, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। সংঘর্ষে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ, বিশেষ করে ইসরায়েলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা এবং পরিস্থিতির অবনতি রোধ করা।
দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংঘর্ষে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের উচিত কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং তৃতীয় দেশের নাগরিকদের সরে যাওয়ার জন্য সুবিধা প্রদান করা।
তৃতীয়ত, সংলাপ ও আলোচনাই হলো মৌলিক উপায় এবং এটিই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বাস্তবায়নের সঠিক পথ।
চতুর্থত, আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও খুব প্রয়োজন। ইসরায়েল ও ইরানের সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্যও একটি গুরুতর আঘাত। আন্তর্জাতিক সমাজের, বিশেষ করে যেসব বড় দেশের সংঘর্ষে জড়িত পক্ষগুলোর ওপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে, তাদের উচিত পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করা। জাতিসংঘেরও এক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা পালন করা উচিত।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন অব্যাহতভাবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিনিময় ও সমন্বয় জোরদার করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাবে।
সূত্র:শুয়েই-তৌহিদ-আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।