
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৩১ আগস্ট সকালে থিয়েনচিন শহরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু’র সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০২৫ সালের শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ ও বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুইজু চীন সফরে রয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে সি বলেন, চীন এবং মালদ্বীপ একটি সাধারণ লক্ষ্য এবং একটি সাধারণ ভাগ্য ভাগ করে নেয়। “গত বছর, আমরা সর্বসম্মতভাবে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে উন্নীত করতে এবং দু’দেশের অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছি। গত প্রায় এক বছর ধরে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাঠামোয় চীন-মালদ্বীপ সহযোগিতা ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য সুবিধা বয়ে আনছে।”
প্রেসিডেন্ট সি আরো বলেন, চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং তার জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অন্বেষণে মালদ্বীপকে সমর্থন করে যাবে। চীন, মালদ্বীপের সাথে রাজনৈতিক দল, আইনসভা এবং সরকারসহ সকল স্তরে বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আস্থা বৃদ্ধি পায় এবং দুই জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পায়।
মুইজু চীনকে তার ১৪তম পাঁচশালা পরিকল্পনার সফল সমাপ্তি এবং এর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমার মেয়াদে দ্বিতীয়বারের মতো এই মহান দেশ চীন সফর করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। প্রতিটি সফরের সময়, চীনের দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং চীনা জনগণের উষ্ণতা ও বন্ধুত্ব আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি চীনকে তার ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল সমাপ্তির জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।”
তিনি আরো বলেন, চীন, তার গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার পক্ষে, চীন বর্তমান অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বে স্থিতিশীলতা আনছে। মালদ্বীপ এবং চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা বড় ও ছোট দেশের মধ্যে সমান সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবিকা নির্বাহে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানায় মালদ্বীপ। মালদ্বীপ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আবাসন, নির্মাণ এবং পর্যটনের মতো ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মতো বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার কাঠামোয় সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং যৌথভাবে মালদ্বীপ ও চীনের একটি অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।