
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থ-বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনার প্রতিনিধি ও উপমন্ত্রী লি ছেং কাং জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক উদ্বেগের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে যথাযথ সমাধানের লক্ষ্যে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। পরবর্তী ধাপে উভয় দেশ নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
লি বলেন, গত এক মাস ধরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক কিছুটা অস্থিরতা ও ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে, যা বিশ্বের নজরে পড়েছে। গত মে মাসে জেনিভায় অনুষ্ঠিত চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বৈঠকের পর থেকে, চীন দুই দেশের নেতাদের ফোনালাপের ঐকমত্য অনুসরণ করে আন্তরিকভাবে আলোচনায় অর্জিত সমঝোতা বাস্তবায়ন করেছে এবং কষ্টার্জিত স্থিতিশীল চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ককে রক্ষা করে আসছে। এই অস্থিরতা ও ওঠানামা চীনের কাম্য নয়।
লি ছেং কাং আরও জানান, গত দুই দিনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দলগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের সামুদ্রিক পরিবহন ও জাহাজ নির্মাণ খাতের ওপর ‘সেকশন ৩০১’ শুল্ক আরোপের ব্যবস্থা, পারস্পরিক শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো, ফেন্টানিল সংক্রান্ত শুল্ক ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা ও গভীর আলোচনা করেছে। উভয় পক্ষ গঠনমূলকভাবে পারস্পরিক উদ্বেগের কিছু সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করেছে এবং প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
লি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান কঠোরভাবে উপস্থাপন করেছে, আর চীন দৃঢ়ভাবে নিজের স্বার্থ রক্ষা করেছে। তিনি আরও যোগ করেন, এই আলোচনার পুরো সময় জুড়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক দলগুলো পরস্পরকে সম্মান করেছে এবং সমতাভিত্তিক সংলাপে অংশ নিয়েছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ যোগাযোগ ও আলোচনাকে আরও জোরদার করবে, যাতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল ও স্বাস্থ্যকরভাবে বিকশিত হয়।
তথ্য সূত্র:শিশির-তৌহিদ-শুয়েই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 























