২৩শে জানুয়ারি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত “চীনের সন্ত্রাসদমন আইন ব্যবস্থা ও অনুশীলন” শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, চীন আইনানুগ সন্ত্রাসদমন করে, জনগণের নিরাপত্তা বোধ উন্নীত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা করে এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক অবদান রাখে।
শ্বেতপত্র অনুযায়ী, চীন ইতিবাচকভাবে বিভিন্ন খাতে ও স্থানীয় সন্ত্রাস দমন ও প্রতিরোধের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা বেগবান করে, বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসদমনের পূর্বপরিকল্পনা প্রণয়ন করে, সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতায় সমর্থন দেয়, সমাজে ব্যাপকভাবে সন্ত্রাস দমনের শিক্ষা প্রচার করে এবং সন্ত্রাসদমনের দক্ষতা বাড়ায়।
শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসী অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি, দণ্ডহীন পদ্ধতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর চরমপন্থি মতাদর্শের গুরুতর ক্ষতি এড়াতে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, নারী ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, ধর্মীয় গোষ্ঠী, স্কুল এবং পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় করে, সংক্রামক ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের হস্তক্ষেপ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অধিকতর ক্ষতি এড়ায় চীন।
এ ছাড়া শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, চীন পরপর ১২টি বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী কনভেনশনে যোগ দিয়েছে এবং “সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থা মোকাবিলায় শাংহাই কনভেনশন” এবং “শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সদস্য দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতামূলক চুক্তি”র মতো ধারাবাহিক দলিল প্রণয়ন বেগবান করেছে। যা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক অবদান রেখেছে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।