ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের Logo তাইওয়ান নিয়ে জাপান সরকারের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ Logo রাজশাহীর জজ পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন

ছবি তুলতে গিয়েই শেষ এক পরিবার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

ট্রলারের মাঝিকে কয়েক যাত্রী ছবি তুলে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি হাতের বৈঠা ছেড়ে মোবাইলে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারে ধাক্কা দেয়। অমনি যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। ডুবে যায় ট্রলারটি। শেষ হয়ে যায় আমার ভাই ও তার পরিবার। শনিবার ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হলেও তিনি ও তার ছেলে এখনও নিখোঁজ। কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবে মেঘনা নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নৌ-পুলিশ ট্রলারের ১২ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫) ও মেয়ে মাহমুদা সুলতানার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন নিখোঁজ রয়েছেন সোহেল রানা ও তার ছেলেসহ ৬ জন।

ইমরান হোসেন আরও বলেন, ওই ট্রলারে আমাদের ভাগ্নি মারিয়াও ছিল। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মারিয়া আমাদের জানিয়েছে, ট্রলার যখন ডুবে যাচ্ছিল সে তার মামাতো ভাইবোনদের দুজনকে দুই হাতে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন হাত থেকে ছুটে যায়। সে অন্যজনকে শক্ত করে ধরে রাখে। কিন্তু যখন সেও ডুবে যাচ্ছিল তখন তার হাত ফসকে অন্যজনও ছুটে যায়। শেষ মুহূর্তে সেও ডুবে যাচ্ছিল। পরে কেউ একজন তার হাত ধরে উপরে ওঠায়।

নিখোঁজ সোহেল রানা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। শনিবার বেলা ১১টায় তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। বাড়িতে শত শত প্রতিবেশীর ভিড়। সবার চোখেই পানি। কিন্তু তার পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। সোহেলের বাবা-মাসহ অন্যরা ভৈরবে নদী তীরে বসে আছেন লাশের অপেক্ষায়।

ফতেহাবাদ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক মেম্বার মোবাইলে বলেন, আমিসহ সোহেলের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন ভৈরবে ঘটনাস্থলে। ছেলে ও পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তার বাবা-মা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান

SBN

SBN

ছবি তুলতে গিয়েই শেষ এক পরিবার

আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

ট্রলারের মাঝিকে কয়েক যাত্রী ছবি তুলে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি হাতের বৈঠা ছেড়ে মোবাইলে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারে ধাক্কা দেয়। অমনি যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। ডুবে যায় ট্রলারটি। শেষ হয়ে যায় আমার ভাই ও তার পরিবার। শনিবার ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হলেও তিনি ও তার ছেলে এখনও নিখোঁজ। কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবে মেঘনা নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নৌ-পুলিশ ট্রলারের ১২ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫) ও মেয়ে মাহমুদা সুলতানার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন নিখোঁজ রয়েছেন সোহেল রানা ও তার ছেলেসহ ৬ জন।

ইমরান হোসেন আরও বলেন, ওই ট্রলারে আমাদের ভাগ্নি মারিয়াও ছিল। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মারিয়া আমাদের জানিয়েছে, ট্রলার যখন ডুবে যাচ্ছিল সে তার মামাতো ভাইবোনদের দুজনকে দুই হাতে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন হাত থেকে ছুটে যায়। সে অন্যজনকে শক্ত করে ধরে রাখে। কিন্তু যখন সেও ডুবে যাচ্ছিল তখন তার হাত ফসকে অন্যজনও ছুটে যায়। শেষ মুহূর্তে সেও ডুবে যাচ্ছিল। পরে কেউ একজন তার হাত ধরে উপরে ওঠায়।

নিখোঁজ সোহেল রানা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। শনিবার বেলা ১১টায় তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। বাড়িতে শত শত প্রতিবেশীর ভিড়। সবার চোখেই পানি। কিন্তু তার পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। সোহেলের বাবা-মাসহ অন্যরা ভৈরবে নদী তীরে বসে আছেন লাশের অপেক্ষায়।

ফতেহাবাদ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক মেম্বার মোবাইলে বলেন, আমিসহ সোহেলের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন ভৈরবে ঘটনাস্থলে। ছেলে ও পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তার বাবা-মা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।