
গত ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বদিউজ্জামাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মোঃ মো:জহির উদ্দিন রিপন নামে এক প্রবাসীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়- ৬ আগস্ট রাতে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ ১৫/২০জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রবাসী জহির উদ্দিন রিপনের দোকানে আসে এবং চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বদিউজ্জামান বিপ্লবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রবাসীর দোকানের কর্মচারীদের মারধর করে দোকান লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়- বিপ্লব মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। সে এলাকায় দম্বের সাথে বলেন- সে নাকি বি এন পির বাপ মা। প্রবাসীর দোকানে তালা মারার ২/৩ ঘণ্টা পর দোকানের কর্মচারীদের কাছ থেকে লুট করা মোবাইল আর দোকানের চাবি বিএনপির মূল দলের নেতা আফতাব উদ্দিন জসিমের বাসায় দিয়ে যায়। কিন্তু প্রবাসীর কাছ লুট করা নেয়া ১লাখ টাকা ফেরৎ দেয়নি বিপ্লব।
প্রবাসী জহির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন- বিপ্লব আমাকে মারতে মারতে আমার বাসার গেটের সামনে ফেলে রাখে আমার স্ত্রী ও বড় মেয়ে আমাকে টেনে নিয়ে যেতে আসছে। আমার স্ত্রী ও মেয়েকে নির্যাতনের হুমকি ও গালিগালাজ করে। এছাড়া হুমকি দেয় যে- আমাদেরকে এই এলাকায় থাকতে দিবে না।
প্রবাসী জহির উদ্দিন আরো বলেন, বিপ্লব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমি দোকানে বসতে পারি না। আমার স্ত্রী ও মেয়েরা ভয়ে আতঙ্কিত থাকে. আমি একজন আমেরিকা প্রবাসী মাঝে মাঝে দেশে আসি আর এই আগার গাঁ এলাকায় আমার একটা দোকান আছে.বিপ্লব এলাকায় চাঁদাবাজি দখলদারি থেকে শুরু করে একটা সন্ত্রাসীর রাজত্ব সৃষ্টি করেছে যা নিয়ে এলাকার সাধারণ বি এন পি পরিবার গুলো ও আতংকে থাকে।
তার এসকল অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রবাসী জহির উদ্দিন পিন্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। (যা প্রতিবেদেকের নিকট রক্ষিত আছে)
উল্লেখ্য যে, প্রবাসী জহির উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির একজন কর্মী