ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশংসা কুঁড়াচ্ছে নববর্ষের গান ” ঢাক ঢোল বাজে” Logo সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রী ফৌজিয়ার জমি ক্রোক Logo সাঘাটায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করার ৩ এসএসসি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Logo উইমেন্স ফ্যাশন ডিজাইনার্স সোসাইটির বর্ষবরণ উৎসব পালিত Logo পানছড়িতে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার Logo চারঘাটে বিদেশী পিস্তল – ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার Logo জয়পুরহাটে ৪২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মতিঝিল থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফসহ গ্রেপ্তার তিন Logo মাদককারবারী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী যুবলীগ নেতা মামুন গ্রেফতার Logo শাহরাস্তিতে ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যা

ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চায় ইটনা থানার ওসি

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

টেন্ডারে পাওয়া কাজের টাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

ওই কথোপকথনে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লক্ষ টাকার কাজ করে ১০ লক্ষ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগের জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরেতো বিল পামু, তাই না?’ পরে জী বলা হয়েছে

একপর্যায়ে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ (এক পিস আধা পিস) জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী, বোঝ না? এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবো নে’। তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে’।’

ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা (ইটনা উপজেলার সংগঠন) আফজাল হুসাইন শান্ত বলেন, ‘আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে। এখানে ওসি কীভাবে জিলাপি খেতে চাইতে পারেন না? আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন?’

এ বিষয়ে ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। মজার ছলে ওই ব্যক্তির কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন।

টাকার পরিমাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেন, এই কথোপকথনের অডিওটি এডিটিং হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্তের দাবি জানাই।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশংসা কুঁড়াচ্ছে নববর্ষের গান ” ঢাক ঢোল বাজে”

SBN

SBN

ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চায় ইটনা থানার ওসি

আপডেট সময় ০৯:৩১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

টেন্ডারে পাওয়া কাজের টাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

ওই কথোপকথনে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লক্ষ টাকার কাজ করে ১০ লক্ষ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগের জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরেতো বিল পামু, তাই না?’ পরে জী বলা হয়েছে

একপর্যায়ে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ (এক পিস আধা পিস) জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী, বোঝ না? এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবো নে’। তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে’।’

ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা (ইটনা উপজেলার সংগঠন) আফজাল হুসাইন শান্ত বলেন, ‘আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে। এখানে ওসি কীভাবে জিলাপি খেতে চাইতে পারেন না? আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন?’

এ বিষয়ে ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। মজার ছলে ওই ব্যক্তির কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন।

টাকার পরিমাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেন, এই কথোপকথনের অডিওটি এডিটিং হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্তের দাবি জানাই।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।