ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  Logo লাকসাম গোবিন্দপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ Logo শাহরাস্তি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবি

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বহুপক্ষবাদে চীনের সক্রিয় সমর্থন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৬:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি চীন সফরে আসা জাতিসংঘের প্রকল্প বিষয়ক বিভাগের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোর্হে মোরেরা দ্য সিলভার চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সিজিটিএনকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

সাক্ষাত্কারে সিলভার বলেন, জলবায়ু ও উন্নয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। পাশাপাশি শান্তি এবং উন্নয়নও অবিচ্ছেদ্য। বিশ্বব্যাপী সংহতি ও সহযোগিতা ছাড়া, কোনও দেশই একা একা সংঘাত, ভঙ্গুরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা মোকাবেলা করতে পারবে না। প্রতিটি দেশ সবুজ উন্নয়ন বজায় রাখলে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের নিরাপত্তা অর্জন করা যাবে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে গৃহীত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ শতাংশ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ২০৩০ সাল একেবারেই নিকটবর্তী। এ ছাড়াও প্যারিস চুক্তি হল টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যদি এই লক্ষ্য বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে বাস্তুতন্ত্র, মানবসমাজ ও সমগ্র পৃথীবি গভীর নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হবে। চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ করেছে, যা পুরোপুরি প্রমাণ করে যে সবুজ-উন্নয়ন কেবল সম্ভবই নয়, বরং তা কর্মসংস্থানের সুযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বয়ে আনতে পারে। চীন নিজ দেশে সবুজ রূপান্তরকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে, যাতে যৌথভাবে সবুজ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যায়। বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ উভয়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে চীনের গভীরতর অংশীদারিত্ব ও সাধারণ উন্নয়নের প্রচারের বাস্তব প্রকাশ।

সিলভার, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃঢ় সংকল্পের অত্যন্ত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সবুজ অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীনের অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি কেবল দেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বব্যাপীও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি চীন দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে এবং ইতিবাচকভাবে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প ও বৈশ্বিক জলবায়ু প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে। তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে ২০৬০ সালের মধ্যে চীনের কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে।

সূত্র:ছাই-হাশিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

SBN

SBN

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বহুপক্ষবাদে চীনের সক্রিয় সমর্থন

আপডেট সময় ০৬:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

সম্প্রতি চীন সফরে আসা জাতিসংঘের প্রকল্প বিষয়ক বিভাগের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোর্হে মোরেরা দ্য সিলভার চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সিজিটিএনকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

সাক্ষাত্কারে সিলভার বলেন, জলবায়ু ও উন্নয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। পাশাপাশি শান্তি এবং উন্নয়নও অবিচ্ছেদ্য। বিশ্বব্যাপী সংহতি ও সহযোগিতা ছাড়া, কোনও দেশই একা একা সংঘাত, ভঙ্গুরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা মোকাবেলা করতে পারবে না। প্রতিটি দেশ সবুজ উন্নয়ন বজায় রাখলে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের নিরাপত্তা অর্জন করা যাবে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে গৃহীত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ শতাংশ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ২০৩০ সাল একেবারেই নিকটবর্তী। এ ছাড়াও প্যারিস চুক্তি হল টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যদি এই লক্ষ্য বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে বাস্তুতন্ত্র, মানবসমাজ ও সমগ্র পৃথীবি গভীর নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হবে। চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ করেছে, যা পুরোপুরি প্রমাণ করে যে সবুজ-উন্নয়ন কেবল সম্ভবই নয়, বরং তা কর্মসংস্থানের সুযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বয়ে আনতে পারে। চীন নিজ দেশে সবুজ রূপান্তরকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে, যাতে যৌথভাবে সবুজ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যায়। বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ উভয়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে চীনের গভীরতর অংশীদারিত্ব ও সাধারণ উন্নয়নের প্রচারের বাস্তব প্রকাশ।

সিলভার, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃঢ় সংকল্পের অত্যন্ত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সবুজ অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীনের অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি কেবল দেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বব্যাপীও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি চীন দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে এবং ইতিবাচকভাবে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প ও বৈশ্বিক জলবায়ু প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে। তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে ২০৬০ সালের মধ্যে চীনের কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে।

সূত্র:ছাই-হাশিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।