ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে ভুয়া মাদ্রাসা চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগ Logo লালমনিরহাটে পিডিবিএফ কর্মচারীদের ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ Logo জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি Logo চীনা শেনচৌ ২০ নভোযান মহাশূন্যে যাত্রা করবে Logo গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে পড়া ঘর মেরামতে বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান Logo লালমনিরহাটে ‘৩৬ জুলাই’ নামের আইনজীবী সমিতির নতুন জেলা হল রুম উদ্বোধন Logo রাণীনগরে সম্মিলিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রনয়ন সভা অনুষ্ঠিত Logo অপহৃত শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে মোল্লাহাট থেকে উদ্ধার Logo “দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস” বইটি অনূদিত করেছেন কচুয়ার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ Logo চাঁদপুরের কচুয়ার আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী নিশিসহ ৪জন গ্রেফতার

জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

এপ্রিল ২৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) জলবায়ু এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।

ভাষণে সি চিন পিং বলেন, ‘এ বছর প্যারিস চুক্তির দশম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। কিছু প্রধান দেশ একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের প্রতি আগ্রহী, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। তবে, ইতিহাস সর্বদা বাঁক ও মোড় নিয়ে এগিয়ে যায়। যতক্ষণ আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকবে এবং ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে, ততক্ষণ আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করতে সক্ষম হব এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসন এবং বিশ্বের সব প্রগতিশীল কারণগুলোর স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

সি চিন পিং চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রথমত, বহুপাক্ষিকতা মেনে চলতে হবে। সবাইকে দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের মূল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে দৃঢ়ভাবে সমুন্নত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে। সবার উচিত উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার মাধ্যমে বাধা ও দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা; সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্পের রূপান্তরে উত্সাহিত করা এবং উচ্চমানের সবুজ প্রযুক্তি ও পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা। যাতে সব দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো তা ব্যবহার করতে পারে, বহন করতে পারে এবং ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। তৃতীয়ত, একটি ন্যায্য পরিবর্তন প্রচার করতে হবে। জনগণকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাদের জীবিকা ও জলবায়ু শাসনের উন্নতির সমন্বয় সাধন করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষা, অর্থনীতির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো একাধিক লক্ষ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। চতুর্থত, বাস্তব পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি রূপান্তরের সমন্বিত উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে জাতীয় স্বাধীন অবদানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা উচিৎ।

সূত্র : রুবি-তৌহিদ-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

রাজশাহীতে ভুয়া মাদ্রাসা চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

SBN

SBN

জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

এপ্রিল ২৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) জলবায়ু এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।

ভাষণে সি চিন পিং বলেন, ‘এ বছর প্যারিস চুক্তির দশম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। কিছু প্রধান দেশ একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের প্রতি আগ্রহী, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। তবে, ইতিহাস সর্বদা বাঁক ও মোড় নিয়ে এগিয়ে যায়। যতক্ষণ আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকবে এবং ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে, ততক্ষণ আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করতে সক্ষম হব এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসন এবং বিশ্বের সব প্রগতিশীল কারণগুলোর স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

সি চিন পিং চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রথমত, বহুপাক্ষিকতা মেনে চলতে হবে। সবাইকে দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের মূল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে দৃঢ়ভাবে সমুন্নত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে। সবার উচিত উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার মাধ্যমে বাধা ও দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা; সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্পের রূপান্তরে উত্সাহিত করা এবং উচ্চমানের সবুজ প্রযুক্তি ও পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা। যাতে সব দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো তা ব্যবহার করতে পারে, বহন করতে পারে এবং ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। তৃতীয়ত, একটি ন্যায্য পরিবর্তন প্রচার করতে হবে। জনগণকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাদের জীবিকা ও জলবায়ু শাসনের উন্নতির সমন্বয় সাধন করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষা, অর্থনীতির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো একাধিক লক্ষ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। চতুর্থত, বাস্তব পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি রূপান্তরের সমন্বিত উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে জাতীয় স্বাধীন অবদানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা উচিৎ।

সূত্র : রুবি-তৌহিদ-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।