ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা Logo শ্রমিক ও মালিকের পারস্পরিক অংশীদারিত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের আহবান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo শাহরাস্তিতে অলংকার তৈরির কারখানায় চুরি, গ্রেফতার ২।। ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার Logo মুরাদনগরে দশ টাকায় খাবার পেলেন সাড়ে ৪শত মানুষ Logo পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ Logo ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত Logo চাঁদপুরে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কর্ম বিরতি পালিত Logo বালিয়াডাঙ্গীতে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা Logo গলাচিপা ইউএনও এর বদলির আদেশ প্রত্যাহরের দাবীতে মানববন্ধন Logo ধর্ষক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত

মো:বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা। এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

জানা গেছে, পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে।

এরি ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা। ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান, বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার, কৃষি বিভাগ নাকি বীজ কোম্পানী?

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা

SBN

SBN

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় ১২:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

মো:বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা। এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

জানা গেছে, পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে।

এরি ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা। ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান, বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার, কৃষি বিভাগ নাকি বীজ কোম্পানী?