শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জরায়ু ক্যান্সার সংক্রান্ত এইচপিভি টিকা দিয়ে এক দাখিল মাদ্রাসার ২১ জন ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর প্রায় সবাই সুস্থ্য হয়ে উঠলেও এখনো বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছে, টিকা নিয়ে ভয় ভীতিতে শংকিত হওয়ায় ছাত্রীদের এমনটি হয়েছে। তবে, কোন শংকা বা ভয় নেই, দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নে পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ ইউনুচ আলী জানান, ওইদিন সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ কর্মীরা ছাত্রীদের জরায়ু সংক্রান্ত এইচপিভি টিকা দিতে মাদ্রাসায় আসেন। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেনীর ১শ ৫জন ছাত্রীকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু এর কিছু সময় পরই ২/৩ জন ছাত্রী অসুস্থ্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহনকারীদের মধ্যে ২১ জন অসুস্থ্য হয়ে পড়াতে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীদের অভিভাবকরা মাদ্রাসায় ছুটে আসেন। অসুস্থ্যদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। অসুস্থ্য ছাত্রীরা হলো- খুশি (১৩), মিম (১১),সিমা (১৪), লামিয়া (১২), সূবর্ণা (১২), হাবিবা (১২), মুন্নি (১২), তারিন (১৫), সোনারী (১৪), ঔশি (১৪) ও জাকিয়া (১৪) সহ মোট ২১ জন ছাত্রী। এদের সবার বাড়িই মাদ্রাসা এলাকার পুকুরিয়া ও পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামে।
কালৗগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে ছাত্রীদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সংক্রান্ত এইচপিভি টিকা দিতে সকালে ওই মাদ্রাসায় যান। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ১শ ৫জনের টিকা দেবার পর প্রথমে ২/৩ জন ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর একে একে মোট ২১ জন ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৩ জন বাদে সবাই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, টিকার ভয় ভীতিতে শংকিত হয়েই ছাত্রীদের এমনটি হয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসাটিতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস না থাকা এবং ছাত্রীদের হিজাব পরে গরমেও এমনটি হতে পারে। তবে, ভয় বা কোন শংকা নেই, দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন শিক্ষার্থীরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেই তাৎক্ষনিক হাসপাতালের ডাক্তারদের সুচিকিৎসার নির্দ্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাবর্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন।