ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ একজন নিহত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে এতে মন্টু বিশ্বাস (৫১) নামে এক বিএনপির সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি কামান্না গ্রামের ইন্তাজ আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং বিএনপি’র জামির গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।
নিহত’র ভাতিজা লিমন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, তাদের এক ভাই আশরাফুল ইসলাম জুলাই যোদ্ধ। তিনি গ্রামে এসে ঘরবাড়ি তৈরি করছিলেন। তাদের প্রতিপক্ষ শহীদ মিয়ার ছেলে মাখন জুলাইযোদ্ধা আশরাফুলকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামান্না গ্রামের বিএনপি নেতা আবু তালেব ও মুকুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তারা আবার উভয়ই স্থানীয় বগুড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জামির গ্রুপের সমর্থক।

সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় মন্টু বিশ্বাস সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হন।
তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সাড়ে এগারোটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাপস কুমার বিশ্বাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক তাপস কুমার বিশ্বাস আরো বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মন্টু মারা যান। তাঁর শরীরের জখমের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারন বলা যাচ্ছে না। তবে গ্রামের অনেকেই বলছেন যে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

নিহতর মেয়ে তানজিলা খাতুন জানান, তার পিতাকে প্রতিপক্ষ আবু তালেব মিরাজ উদ্দিন ও তারিক হোসেন আঘাত করেছে। আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহ বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ একজন নিহত

আপডেট সময় ১১:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে এতে মন্টু বিশ্বাস (৫১) নামে এক বিএনপির সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি কামান্না গ্রামের ইন্তাজ আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং বিএনপি’র জামির গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।
নিহত’র ভাতিজা লিমন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, তাদের এক ভাই আশরাফুল ইসলাম জুলাই যোদ্ধ। তিনি গ্রামে এসে ঘরবাড়ি তৈরি করছিলেন। তাদের প্রতিপক্ষ শহীদ মিয়ার ছেলে মাখন জুলাইযোদ্ধা আশরাফুলকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামান্না গ্রামের বিএনপি নেতা আবু তালেব ও মুকুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তারা আবার উভয়ই স্থানীয় বগুড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জামির গ্রুপের সমর্থক।

সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় মন্টু বিশ্বাস সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হন।
তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সাড়ে এগারোটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাপস কুমার বিশ্বাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক তাপস কুমার বিশ্বাস আরো বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মন্টু মারা যান। তাঁর শরীরের জখমের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারন বলা যাচ্ছে না। তবে গ্রামের অনেকেই বলছেন যে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

নিহতর মেয়ে তানজিলা খাতুন জানান, তার পিতাকে প্রতিপক্ষ আবু তালেব মিরাজ উদ্দিন ও তারিক হোসেন আঘাত করেছে। আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।