ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টং দোকানি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে কোটিপতি শেখ জাকির

স্টাফ রিপোর্টার :
টং দোকান থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন ৬ নং পূর্ব বাঙ্গরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন । ড্রেজার, মাদক কারবার  করে অনেকটা সিনেমার স্টাইলেই যেন উত্থান এ আওয়ামী লীগ নেতার। দুই ভাইকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার পর অভাবের তাড়নায় একটি ছোট্ট টক দোকানে পান বিড়ি সিগারেট বিক্রি করে। এরপর হঠাৎ করেই রাতারাতি উত্থান ঘটে ৬ ন পূর্ব বাঙ্গরা  ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন। ১৪ভাই আওয়ামিলীগের বিভিন্ন নেত্রী স্থানীয় অবস্থায় আছে। মুরাদনগর ৩  সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার  ও তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর দাপট ও আওয়ামী লীগার আলাদিনের চেরাগ পেয়ে বনে যান টাকার কুমির। দুই ভাইকে নিয়ে গড়ে তোলেন এলাকার বড় মাদক সাম্রাজ্য।
টাকার জোরে আওয়ামী লীগের টিকিটে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে  ইউপি চেয়ারম্যানের পদটিও দখলে নেন। তারপরও শুরু করে দেন অসহায় নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার জমি দখল টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি । ত্যাগী নেতাদের ওপর শুরু করেন নিপীড়ন-নির্যাতন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে  তার দুই ভাই শেখ আক্তার, শেখ একরামকে দিয়ে অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা,  কয়েকশো কানি ফসলি জমি দিয়ে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন, বাজারের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করে লাখ লাখ টাকা মাসিক ভাড়া ও  চাঁদা উত্তোলন , জুয়ার আসর,, মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে অসহায় মানুষে জায়গা দখলের মত নানান অপকর্ম । বেশ কিছু মাদক মামলা থাকলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষমতার বলে রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ কিছু বলতে গেলে। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে তার ১৪ ভাইসহ শেখ ২০/৩০ জন সব একসাথে ওই লোকের পর ঝাপিয়ে পড়ে। উক্ত কারণে কেউ ভয়ে মুখ খোলা না।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টং দোকানি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে কোটিপতি শেখ জাকির

আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার :
টং দোকান থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন ৬ নং পূর্ব বাঙ্গরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন । ড্রেজার, মাদক কারবার  করে অনেকটা সিনেমার স্টাইলেই যেন উত্থান এ আওয়ামী লীগ নেতার। দুই ভাইকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার পর অভাবের তাড়নায় একটি ছোট্ট টক দোকানে পান বিড়ি সিগারেট বিক্রি করে। এরপর হঠাৎ করেই রাতারাতি উত্থান ঘটে ৬ ন পূর্ব বাঙ্গরা  ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন। ১৪ভাই আওয়ামিলীগের বিভিন্ন নেত্রী স্থানীয় অবস্থায় আছে। মুরাদনগর ৩  সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার  ও তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর দাপট ও আওয়ামী লীগার আলাদিনের চেরাগ পেয়ে বনে যান টাকার কুমির। দুই ভাইকে নিয়ে গড়ে তোলেন এলাকার বড় মাদক সাম্রাজ্য।
টাকার জোরে আওয়ামী লীগের টিকিটে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে  ইউপি চেয়ারম্যানের পদটিও দখলে নেন। তারপরও শুরু করে দেন অসহায় নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার জমি দখল টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি । ত্যাগী নেতাদের ওপর শুরু করেন নিপীড়ন-নির্যাতন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে  তার দুই ভাই শেখ আক্তার, শেখ একরামকে দিয়ে অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা,  কয়েকশো কানি ফসলি জমি দিয়ে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন, বাজারের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করে লাখ লাখ টাকা মাসিক ভাড়া ও  চাঁদা উত্তোলন , জুয়ার আসর,, মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে অসহায় মানুষে জায়গা দখলের মত নানান অপকর্ম । বেশ কিছু মাদক মামলা থাকলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষমতার বলে রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ কিছু বলতে গেলে। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে তার ১৪ ভাইসহ শেখ ২০/৩০ জন সব একসাথে ওই লোকের পর ঝাপিয়ে পড়ে। উক্ত কারণে কেউ ভয়ে মুখ খোলা না।