
টাঙ্গাইল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শরীফা হক-এর কাছে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরামনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজিমুক্ত, কিশোর গ্যাংমুক্ত একটি নিরাপদ ও আধুনিক টাঙ্গাইল গড়ার যে অঙ্গীকার করেছি—ইনশাআল্লাহ তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করব। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় নির্বাচিত হতে পারলে টাঙ্গাইল সদরকে উন্নয়ন ও সুশাসনের ক্ষেত্রে একটি মডেল টাঙ্গাইল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।তিনি আরও বলেন দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের পক্ষে সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। ব্যক্তি নয় দল বড়—আর দলের চেয়েও দেশ বড়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।তিনি টাঙ্গাইল সদরবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।উল্লেখ্যগত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর আগে ২১ ডিসেম্বর তিনি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫০টি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়। তিনি ১২ দফা কারাভোগ করেন এবং মোট প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন। এছাড়া তাকে টানা ৪৬ দিন রিমান্ডে থাকতে হয়।
মো: কৌশিক সাজিদ পিয়াল 





















