মোঃ ইলিয়াস আলী:
ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ও যাত্রীদের অধিকার রক্ষার জন্য ১০ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান কর্মসূচীর উদ্বোধন হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে রোড স্টেশনের প্লাটফর্মে এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহাবুব আলম রুবেল। এ কর্মসূচী আগামি ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। এ সময় কর্মসূচীকে ঘিরে সাংবাদিক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থী সহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন এবং কর্মসূচীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন এবং বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন।
প্রথম আলো পত্রিকার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মজিবর রহমান খান বলেন, এই প্লাটফর্মে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ আমার দাবি এখানে দুইটি প্লাবফর্ম রয়েছে। এখানে দুর্ঘটনা রোধে একটি ওভারব্রীজ নির্মান করা জরুরি।
সাংবাদিক তানভীর হাসান তানু বলেন, এ দাবি কোন ব্যক্তির স্বার্থে নয়৷ এ দাবি আমাদের সকলের। পরিকল্পিত ভাবে স্টেশনের প্লাফর্মের কাজ না হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে মানুষ মরছে।
সাংবাদিক মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল বলেন, এখানে টিকিটের কালোবাজারি হয়। এটি একটি বড় সমস্যা। আমরা এ কালোবাজারিদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানাই। আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে বগি অনুযায়ী নাম্বার প্লেটের দাবি জানাই।
সাংস্কৃতিক কর্মী রেজওয়ানুল হক রেজু বলেন, আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। সম্প্রতি এই প্লাটফর্মে এসব সমস্যার কারনে একাধিক মানুষ মৃত্যু হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান না হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা আর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু দেখতে চাইনা।
যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহাবুব আলম রুবেল দাবি সমূহ উত্থাপন করে বলেন, ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে যাত্রী দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে প্লাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ট্রেনের বগির দরজার সমান করতে হবে। প্লাটফর্ম ও ট্রেনের বগির মধ্যকার ফাকা স্থান পূরণ করতে প্লাটফর্ম প্রশস্ত করা। ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে ট্রেনের বিরতির সময় বর্তমান ৩ মিনিট থেকে বাড়িয়ে ৫ মিনিট করা। ট্রেন হুইসেল দেওয়ার পর সাথে সাথে না ছেড়ে মিনিমাম ৩০ সেকেন্ড পর ছাড়া। যাত্রীদের নিজ বগির অবস্থান বোঝার জন্য প্লাটফর্মে ট্রেনের সকল বগির নাম্বার সঠিক জায়গায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ট্রেন প্লাটফর্মে আসার ঠিক আগ মূহুর্তে স্টেশনের মাইকের মাধ্যমে অপেক্ষমান যাত্রীদেরকে ট্রেনে উঠানামা করতে গিয়ে যে দূর্ঘটনা গুলো হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা। রাতে গোটা প্লাটফর্মে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কর্তপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুই প্লাটফর্মের মাঝে একটি ওভারব্রীজ নির্মান করতে হবে। আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শেষে সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবো।