ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক ২ এমপিসহ ২৮ জনে’র নামে মামলা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ভূমি জবরদখল ও চাঁদাবাজিসহ বেশকিছু অভিযোগে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আরও ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শিল্পপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের এমপি ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দবিরুল ইসলাম। তার বড় ছেলে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন, তার ছোট ছেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীম, হুমায়ুন কবির, কলেজপাড়ার মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে আদম আলী, বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়ন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তার ভাই উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ভাসানী, হরিনমারি সরকারপাড়ার মৃত মফিরতের ছেলে মতিন, উপজেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী, পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী রুবেল, ভানোর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি লাজিব উদ্দীন কালঠু, একই ইউনিয়নের উদয়পুর বাগানবাড়ি গ্রামের পিতা ঝরুয়ার ছেলে মুনছুর, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, হরিনমারী সরকারপাড়া গ্রামের খতিবতের ছেলে আশরাফুল, সর্বমঙ্গলা বড়বাড়ি গ্রামের মোজাফর রহমানের ছেলে আরজু লিটন, বড়পলাশবাড়ী পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামের শহীদের ছেলে আবু শাহীন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চড়ইগতি গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের মৃত কফিজুল হকের ছেলে জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি ভানোর এলাকার মৃত উলফত উদ্দিনের ছেলে রফিক বিডিআর, আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শাহজাহান, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আমজানখোর ইউনিয়নের মাহাতবস্তি গ্রামের আকালু ডোঙ্গার ছেলে বাবু, আমজনখোর ইউনিয়নের রত্নাই মারাধার গ্রামের জসীম উদ্দীনের ছেলে তাজু মেম্বার। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বাদি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৯০ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর বাকি জমি মামলার আসামিগণ দখল করে রেখেছে। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো।

এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় এজাহারের হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনবেন পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামে মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ফজলে আলম ওরফে রাসেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। অজ্ঞাত হিসেবে আরও ২০০ জনকে রাখা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক ২ এমপিসহ ২৮ জনে’র নামে মামলা

আপডেট সময় ০২:২১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ভূমি জবরদখল ও চাঁদাবাজিসহ বেশকিছু অভিযোগে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আরও ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শিল্পপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের এমপি ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দবিরুল ইসলাম। তার বড় ছেলে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন, তার ছোট ছেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীম, হুমায়ুন কবির, কলেজপাড়ার মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে আদম আলী, বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়ন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তার ভাই উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ভাসানী, হরিনমারি সরকারপাড়ার মৃত মফিরতের ছেলে মতিন, উপজেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী, পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী রুবেল, ভানোর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি লাজিব উদ্দীন কালঠু, একই ইউনিয়নের উদয়পুর বাগানবাড়ি গ্রামের পিতা ঝরুয়ার ছেলে মুনছুর, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, হরিনমারী সরকারপাড়া গ্রামের খতিবতের ছেলে আশরাফুল, সর্বমঙ্গলা বড়বাড়ি গ্রামের মোজাফর রহমানের ছেলে আরজু লিটন, বড়পলাশবাড়ী পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামের শহীদের ছেলে আবু শাহীন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চড়ইগতি গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের মৃত কফিজুল হকের ছেলে জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি ভানোর এলাকার মৃত উলফত উদ্দিনের ছেলে রফিক বিডিআর, আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শাহজাহান, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আমজানখোর ইউনিয়নের মাহাতবস্তি গ্রামের আকালু ডোঙ্গার ছেলে বাবু, আমজনখোর ইউনিয়নের রত্নাই মারাধার গ্রামের জসীম উদ্দীনের ছেলে তাজু মেম্বার। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বাদি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৯০ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর বাকি জমি মামলার আসামিগণ দখল করে রেখেছে। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো।

এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় এজাহারের হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনবেন পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামে মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ফজলে আলম ওরফে রাসেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। অজ্ঞাত হিসেবে আরও ২০০ জনকে রাখা হয়েছে।