ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিমলার ইসলামিয়া কলেজ থেকে নাউতরা সড়কের বেহাল দশা: দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ইসলামিয়া কলেজ থেকে নাউতরা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থায়। বহু বছর ধরে সংস্কারবিহীন এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীরা চলাচল করেন।

স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে, ফলে ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল–কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ দুলাল হোসেন বলেন,
বৃষ্টির সময় ভ্যান চালানো যায় না। এনজিও থেকে টাকা নিয়ে ভ্যান কিনেছি, কিন্তু রাস্তায় কাদা হলে ভ্যান চালাতে পারি না। তখন কিস্তি দেওয়া আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কাদায় ভ্যান চালাতে গিয়ে গাড়ি নষ্ট হয় — গরিব মানুষের জন্য এটা বড় কষ্ট।

এমনই অভিমত দেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই দোকানে যাওয়া–আসা করতে ভোগান্তি হয়। আবাদের সন্তানের স্কুল–কলেজে যাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে পথ চলা কঠিন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবলু হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কত নেতা এল, কত প্রতিশ্রুতি দিল—কেউ রাস্তা পাকাকরণ করলো না। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই জানেন, কিন্তু রাস্তা এখনও কাঁচা। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।

অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দশ বছর ধরে সড়কটি সংস্কারবিহীন, মাঝে মধ্যে বরাদ্দের কথা শোনা গেলেও কাজ হয়নি। সম্প্রতি এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, সড়কের ২ কিলোমিটার অংশের জন্য নতুন করে বরাদ্দ এসেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি আগেও এমন প্রতিশ্রুতি তারা বহুবার শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করে বলেন, এবার যেন কথার ফুলঝুরি না হয়ে বাস্তব উন্নয়ন হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিমলার ইসলামিয়া কলেজ থেকে নাউতরা সড়কের বেহাল দশা: দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

আপডেট সময় ০৫:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ইসলামিয়া কলেজ থেকে নাউতরা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থায়। বহু বছর ধরে সংস্কারবিহীন এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীরা চলাচল করেন।

স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে, ফলে ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল–কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ দুলাল হোসেন বলেন,
বৃষ্টির সময় ভ্যান চালানো যায় না। এনজিও থেকে টাকা নিয়ে ভ্যান কিনেছি, কিন্তু রাস্তায় কাদা হলে ভ্যান চালাতে পারি না। তখন কিস্তি দেওয়া আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কাদায় ভ্যান চালাতে গিয়ে গাড়ি নষ্ট হয় — গরিব মানুষের জন্য এটা বড় কষ্ট।

এমনই অভিমত দেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই দোকানে যাওয়া–আসা করতে ভোগান্তি হয়। আবাদের সন্তানের স্কুল–কলেজে যাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে পথ চলা কঠিন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবলু হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কত নেতা এল, কত প্রতিশ্রুতি দিল—কেউ রাস্তা পাকাকরণ করলো না। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই জানেন, কিন্তু রাস্তা এখনও কাঁচা। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।

অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দশ বছর ধরে সড়কটি সংস্কারবিহীন, মাঝে মধ্যে বরাদ্দের কথা শোনা গেলেও কাজ হয়নি। সম্প্রতি এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, সড়কের ২ কিলোমিটার অংশের জন্য নতুন করে বরাদ্দ এসেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি আগেও এমন প্রতিশ্রুতি তারা বহুবার শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করে বলেন, এবার যেন কথার ফুলঝুরি না হয়ে বাস্তব উন্নয়ন হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।