ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীন-ইন্দোনেশিয়া উচ্চমানের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে : ওয়াং ই Logo যুক্তরাষ্ট্র নির্বিচারে শুল্কের অপব্যবহার করছে: বেইজিং Logo খুলনায় ইজিবাইক চালক ও চার্জিং পয়েন্ট মালিকদের সাথে কেএমপির মতবিনিময় Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি গ্রেফতার Logo বরুড়ায় অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিনে মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা Logo সিলিন্ডার ভর্তি পিকআপ উল্টিয়ে পুকুরে : গোসল করতে নেমে কিশোরের মৃত্যু Logo বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু Logo ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলা বাতিল Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, আটক ০২ Logo বুড়িচংয়ে বিএনপির ৬টি ওয়ার্ড কমিটি প্রত্যাহারের দাবি

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলা বাতিল

মোহাম্মদ আলী সুমন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

আজকের এই রায়ের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল হয়ে গেল বলে জানান উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।

আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।

অপর ছয় কর্মকর্তা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এক পর্যায়ে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা গত বছরের ৮ জুলাই আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

তবে এর মধ্যেই রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।

অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

চীন-ইন্দোনেশিয়া উচ্চমানের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে : ওয়াং ই

SBN

SBN

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলা বাতিল

আপডেট সময় ০২:০০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

মোহাম্মদ আলী সুমন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

আজকের এই রায়ের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল হয়ে গেল বলে জানান উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।

আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।

অপর ছয় কর্মকর্তা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এক পর্যায়ে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা গত বছরের ৮ জুলাই আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

তবে এর মধ্যেই রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।

অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।