বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জনাব ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং ক্ষমতায় থাকা অন্তর্বর্তী সরকারকে চীনের সমর্থন জানান। রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, বাংলাদেশি জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং আশা করে যে, বাংলাদেশ দ্রুত ঐক্য, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের সংকল্পের কোনো পরিবর্তন হবে না।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে আয়োজিত হয়েছে। চীন নতুন মানের উৎপাদন শক্তির বিকাশ জোরদার করবে এবং নতুন শিল্পায়ন উন্নীত করবে, যা বাংলাদেশকে আরও নতুন সুযোগ দেবে। তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনাও বিশাল। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার সংস্কার ও উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ফলাফল ও ঐকমত্য বাস্তবায়ন করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রচার করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, চীন মিয়ানমারের সব পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং এজন্য নির্দেশনা ও আহ্বান অব্যাহত রাখবে, যাতে শীঘ্র রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা যায়।
ড. ইউনূস বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবন-জীবিকার উন্নতিতে চীনের দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে প্রভাবিত হবে না এবং চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। আশা করা যায় যে, চীন বাংলাদেশকে আরও সমর্থন দেবে এবং দু’দেশের জনগণের আরও কল্যাণে চীনের সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: জিনিয়া, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।